চিপসের প্যাকেটের ভেতরে খেলনা

শিশুখাদ্যে ঝুঁকিপূর্ণ খেলনা: প্রতিবেদন না দেয়ায় বিএসটিআইয়ের ওপর ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

চিপসের প্যাকেটের ভেতর ক্ষুদ্রাকৃতির প্লাস্টিকের খেলনা দেওয়া বন্ধের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল না করায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)- এর ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারিকৃত রুল শুনানিতে আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

তবে সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ খেলানা থাকা শিশুখাদ্য ধ্বংস ও জব্দ করা হয়েছে বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ওপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন।

বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জমান বলেন, বিএসটিআই কে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করে রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গত বছরের ১৭ নভেম্বর চিপসের প্যাকেটের ভেতরে শিশু-খেলনা না ঢোকাতে শিশুখাদ্য উৎপাদক কোম্পানিদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- এ মর্মে রুল জারি করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। একই সঙ্গে চিপসের প্যাকেটে খেলনার বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনকে (বিএসটিআই) প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে, গত ৩ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মোঃ মনিরুজ্জামান লিঙ্কন। রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, এম এম ইস্পাহানী লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও হেড অব মার্কেটিং, ইনগ্রিন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও হেড অব মার্কেটিং, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বিএসটিআই-এর মহাপরিচালক।

সে সময় মো. মনিরুজ্জমান বলেছিলেন, অ্যাবসেন্ট মাইন্ডে বাচ্চারা যখন চিপস খায় তখন খেলনাটা তাদের পেটে ঢুকে যায়। এটা খুবই অ্যালার্মিং। প্রতিবেশী দেশে দু’টি বাচ্চা মারা গেছে বলে আমরা প্রতিবেদন পেয়েছি।

সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী আরও জানান, আমরা আশঙ্কা করছি, আমাদের দেশের কোনো শিশু চিপসের প্যাকেটে যে প্ল্যাস্টিকের খেলনা থাকে সেটা খেয়ে ফেললে হয়তো এরকম পরিস্থিতি হতে পারে। প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর। এ কারণে রিট করেছি।