চন্দন কান্তি নাথ, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা

বাংলা ভাষা যেভাবে আদালতে বাধ্যতামূলক

চন্দন কান্তি নাথ:

বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। বাংলা ভাষার জন্যে এদেশের মানুষ প্রাণ দিয়েছে।এদেশের স্বাধীনতার যাত্রা ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হয়। এই ভাষার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সাহিত্যের ভাষা বাংলা। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র। বাংলাদেশের ৯৮.৯% মানুষের মাতৃভাষা বাংলা।

বাংলা ভাষা বিকাশের ইতিহাস ১৩০০ বছরের অধিক পুরনো। গত সহস্রাব্দির সূচনালগ্নে পাল এবং সেন সাম্রাজ্যের প্রধান ভাষা ছিল বাংলা। সুলতানি আমলে অত্র অঞ্চলের অন্যতম রাজভাষা ছিল বাংলা। মুসলিম সুলতানদের পৃষ্ঠপোষকতায় গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম রচিত হয়েছিল বাংলা ভাষায়। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা বিরোধী বাংলার নবজাগরণে ও বাংলার সাংস্কৃতিক বিবিধতাকে এক সূত্রে গ্রন্থনেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা ভাষা কে পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষার বাহন ও আদালতের ভাষা হিসাবে ব্যবহার করার কথা বলেন। ২৩ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ এ করাচিতে পাকিস্তানের সাংবিধানিক পরিষদে ধীরেনদ্র নাথ দত্ত বাংলা কে পাকিস্তানের অফিসের ভাষা  করার প্রস্তাব করেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত বাংলা ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ হলে পশ্চিম পাকিস্তানের বিবিধ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ও সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২১শে ফেব্রুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদী ছাত্র ও আন্দোলনকারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠের মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষাকরণের দাবীতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষাকরণের দাবিতে ক্রমবর্ধমান গণআন্দোলনের মুখে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় এবং ১৯৫৪ সালের ৭ই মে পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হলে ২১৪ নং অনুচ্ছেদে বাংলা ও উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উল্লিখিত হয়।

দীর্ঘ সংগ্রামের পর এদেশ একটি সংবিধান পায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা প্রবর্তিত হয়। এমনকি ২৮/১২ /১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে সুপ্রীম কোর্ট এর এক উদ্বোধনী ভাষণে  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাননীয় বিচারপতিদের বাংলায় রায় লেখার আহ্বান করেন |

বঙ্গবন্ধুর এ দেশে সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের ভাষা হিসেবে বাংলা কে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এদেশের নামটি ও হয় বাংলাদেশ। সংবিধানের মুখ নিবন্ধে বলা হয় এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা হবে যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। অর্থাৎ এদেশের সকল নাগরিকের জন্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। আরো থাকবে আইনের শাসন। অনুচ্ছেদ ৭ (২) এ বলা হয় অসামঞ্জস্যপূর্ন অন্য কোনো আইন বাতিল বলে গণ্য হবে।

সংবিধানে আছে- ইংরেজী পাঠ থাকলেও বাংলা পাঠই প্রধান বলে গণ্য হবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৮ (৪) এ আছে – নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান-প্রণয়ন হতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করবে না। সে মোতাবেক  ইংরেজিতে অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির বাংলা ভাষা সবখানে প্রয়োগে আইন এর প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সবকিছু বাংলায় হলে আদালতে নাগরিকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত  নাগরিকের কাছে পৌঁছায়। নাগরিক আইন এর আশ্রয় পায়। তাই  আদালতে বাংলা প্রচলন সংবিধান এর অন্য অনুচ্ছেদ ও সমর্থন করে।

এতে সকলে ইংরেজী না জানলেও সব খানে আদালতের ভাষা বাংলা হলে  অনুচ্ছেদ ২৬, ২৭, ৩১ অনুসারে সব মানুষই মৌলিক অধিকার পাবে। অনুচ্ছেদ ২৭ এ আছে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। আদালতের ভাষা বাংলা হলে সহজেই যে কেউ তার অধিকার বিষয়ে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত সহ যেকোনো সিদ্ধান্ত জানতে পারবে। অনুচ্ছেদ ৩১ এ আছে – আইনের আশ্রয়লাভ এবং আইনানুযায়ী ও কেবল আইনানুযায়ী ব্যবহার লাভ যে কোন স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের এবং সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং বিশেষতঃ আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না, যাতে কোন ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।আইনের আশ্রয় লাভের বিষয়টি এখানেও পরিষ্কার করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানের আলোকে আইন করার চিন্তা করেন। ১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি অফিস-আদালতের দাপ্তরিক কাজে বাংলা ভাষা প্রচলনে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করেন। রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক জারিকৃত এক আদেশে বলা হয়, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। বাংলা আমাদের জাতীয় ভাষা। তবুও অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, স্বাধীনতার তিন বছর পরও অধিকাংশ অফিস আদালতে মাতৃভাষার পরিবর্তে বিজাতীয় ইংরেজি ভাষায় নথিপত্র লেখা হচ্ছে। মাতৃভাষার প্রতি যার ভালোবাসা নেই, দেশের প্রতি যে তার ভালোবাসা আছে এ কথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।পরবর্তীতে অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্যে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭ প্রণয়ন করা হয় |

মৌলিক অধিকার বলে ১৯৮৭ সনের আইনটি একটি বিশেষ আইন। উক্ত আইনের ৩ (১) ধারায় আছে – এই আইন প্রবর্তনের পর বাংলাদেশের সর্বত্র তথা সরকারী অফিস, আদালত, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে নথি ও চিঠিপত্র, আইন-আদালতের সওয়াল জবাব এবং অন্যান্য আইনানুগ কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় লিখতে হবে।ধারা ৩(২) এ আছে –

৩(১) উপ-ধারায় উল্লিখিত কোন কর্মস্থলে যদি কোন ব্যক্তি বাংলাভাষা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় আবেদন বা আপীল করেন তা হলে সে আবেদন বেআইনি ও অকার্যকর বলে গণ্য হবে।উক্ত আইন এর মুখ নিবন্ধে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩ এর উদ্দেশ্য পূরণ করার কথা বলা হয়েছে। এই আইন অনুসরণ করে, ১৯৮৭ সাল থেকে সমস্ত আইনি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বাংলা ভাষায় করা হচ্ছে। প্রায় সমস্ত জেলা আদালতে, কথ্য এবং অভিযোগ দাখিল ও রায় উভয়ইর জন্য বাংলা হল যোগাযোগের মাধ্যম; তবে এখন ও কিছু আদালতে ও উচ্চ আদালতে কথ্য  এবং অভিযোগ দাখিল ও রায়গুলি ইংরেজিতে দেয়া হয়। এটা অবশ্যই আইন অনুসারে নয়। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫২ তে আদালত অর্থ সুপ্রীম কোর্ট সহ যেকোন আদালতকে বুঝানো হয়েছে। ১৯৮৭ সনের আইনে ও আদালত কথাটি পরিষ্কার ভাবে আছে। একইভাবে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫২ এ আইন এর অর্থ প্রথমে আইন এবং পরে আইন অর্থ কোন অধ্যাদেশ, আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্য আইনগত দলিল এবং বাংলাদেশে আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন যে কোন প্রথা বুঝানো হয়েছে।

অনুচ্ছেদ ৮০ তে কিভাবে আইন প্রণয়ন হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত আছে। সে মোতাবেক ১৯৭৫ সনের অধ্যাদেশ কিংবা ১৯৮৭ সনের আইন হয়েছে। এই আইন সুপ্রীম কোর্ট এর কোনো রায় দ্বারা বাতিল করা হয়নি বা বাতিল করার কোনো কারণও নাই এবং এই আইন দ্বারা সংবিধান অনুসারে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে। সেকারণে হাইকোর্ট বিভাগের বিধিমালা, অধ্যায় ৪ ও বিধি ১ এ প্রথমে বাংলায় অথবা ইংরেজিতে সকল দরখাস্ত করার কথা বলা হয়েছে। আপিল বিভাগের বিধিমালাতে আদেশ ৭ বিধি ৩ এ বাংলা অথবা ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষার কাগজ প্রথমে বাংলায় অথবা ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিতে বলা হয়েছে। এটা ছাড়াও বাংলাদেশের দেওয়ানি ফৌজদারি কার্য বিধি আইনে প্রথমে ইংরেজি গুরুত্বপূর্ণ হলেও ১৯৮৭ সনের আইন সর্বশেষ বিশেষ আইন হাওয়ায় এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধান ও জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী প্রণীত এই আইন ১৯০৮ ও ১৮৯৮ সনের দেওয়ানি ফৌজদারি কার্য বিধি আইন সহ

অন্য সকল রায়, অধ্যাদেশ, আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি এর উপর প্রাধান্য পাবে।

আবার ৪ ৪ ডি এল আর (হাইকোর্ট বিভাগ) ৩৩২ রাষ্ট্র ভাষা বলতে প্রশাসনিক, সংসদীয় এবং বিচার বিভাগীয় ভাষা কে বুঝানো হয়েছে অর্থাৎ আদালতের ভাষা ও বাংলা বলা হয়েছে। তবে ওই রায়ে সংকীর্ণ অর্থে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে ইংরেজি ভাষাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে উপরোক্ত আলোচনা অনুসারে মৌলিক অধিকার কিংবা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ইতিহাস কে গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলে অনেকে মনে করেন। এটা ছাড়াও এই রায় আইন ও সংবিধান এর চেয়ে অধিক গুরুত্ব পাবে না বলেই বিশেষজ্ঞরা বলেন। তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা এর নেতৃত্বে মহাজোট ক্ষমতাসীন হলে সর্বক্ষেত্রে বাংলা প্রচলন, বাংলা কৃষ্টি, কালচার এবং সংস্কৃতি প্রসারের ব্যবস্থা নেন।

সে কারণে ২০১১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিচার কাজে ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইনের প্রয়োগ বিষয়ে একটি সুপারিশ পেশ করে বাংলাদেশের আইন কমিশন।একুশে ফেব্রুয়ারি আগেই দুইটি ঘোষণাপত্র জারি এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আইন কমিশন সুপারিশে উল্লেখ করে।মহান একুশে পালনের একটি প্রকৃষ্ট উপায় হবে বলেও সুপারিশে উল্লেখ করা হয়। আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর শাহ আলম মহোদয় বলেন, একটি ক্ষুদ্র মহল উচ্চ আদালতে গোষ্ঠী আধিপত্য বজায় রাখতে বাংলাকে বর্জন করে ইংরেজি আঁকড়ে আছেন বলে প্রতীয়মান হয় |

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দের একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বাংলা ভাষা প্রচলন আইন ১৯৮৭ অনুযায়ী অফিস-আদালত, গণমাধ্যমসহ সর্বত্র বাংলা ভাষা ব্যবহারের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।বাংলাদেশের প্রায় সকল নাগরিক বাংলা ভাষাতেই কথা বলেন, বাংলায় লেখেন ও পড়েন। ইংরেজিতে লেখেন ও পড়েন না। তাই অধিকাংশ মানুষ ইংরেজি রায়, আর্জি, জবাব না বুজে আইনের আশ্রয় হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। সুপ্রীম কোর্ট এর বিধি অনুসারে বাংলাকে প্রথমে এবং ইংরেজিকে বিকল্প হিসাবে রাখা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে বাংলাই বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয়। উপরের আলোচনা হতে এটি পরিষ্কার যে আদালতে বাংলা চর্চা না  করা সুস্পষ্টভাবে আইন ও সংবিধান এর লংঘন। তবে এখন ও অনেক আইন ইংরেজিতে। অনেক শব্দ বাংলায় বললে বুঝা যায় না। তাই বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি শব্দ গুলো বন্ধনইতে লেখা যায়। এতে করে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ইচ্ছা ও স্বাধীনতা সার্থক হবে এবং বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছা পূরণ হবে।

লেখক- সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা।