ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ, গোদাগাড়ীর ইউএনওর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেন আইনজীবী
জেলা জজ কোর্ট ভবন, রাজশাহী

প্রতিবন্ধীদের পাঠদান ও পৌরসভায় মালির কাজ করার শর্তে প্রবেশনে ২ আসামি

মাদক মামলার আসামিদের সংশোধনের জন্য এক বছর করে দুই আসামির ভিন্ন রকম সাজা দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে এক আসামিকে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে পাঠদান ও অপর আসামিকে পৌরসভার মালির কাজ করার নির্দেশ দেন।

মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস সোমবার (৩০ নভেম্বর) ব্যতিক্রমী এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার দক্ষিণ ডাসার গ্রামের সৈয়দ হারুণ অর রশীদের ছেলে সৈয়দ ফয়সাল হোসেন রুবেজ (২৩) ও একই এলাকার কাজী আবুল বাশারের ছেলে কাজী সজল (২৪)।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ সদর উপজেলার খৈয়ারভাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালায় জেলার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এ সময় ১ শ পিস ইয়াবাসহ রুবেজ ও সজলকে আটক করা হয়। পরে জেলার গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই এনামুল হক মন্ডল বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সাক্ষ্যপ্রমাণ ও বিচারিকপ্রক্রিয়া শেষে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস দুই আসামিকে একবছর করে কারাদণ্ড দেন। তবে, এ দণ্ড তারা কারাগার ছাড়াই ভোগ করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে সংশোধনের জন্য সৈয়দ ফয়সাল হোসেন রুবেজকে মাদারীপুরের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে পাঠদানে সহায়তা করা ও অপর আসামি কাজী সজলকে মাদারীপুর পৌরসভার মালির কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। যা আগামী এক বছর পর্যবেক্ষণ করবেন জেলা সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তারা।

প্রতি তিনমাস অন্তর সমাজসেবা কর্মকর্তারা আদালতে দণ্ডপ্রাপ্তদের কর্মকাণ্ড বিষয়ে আদালতে প্রতিদেবন দাখিল করবেন।

মাদারীপুর জজ কোর্টের পিপি মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, মূলত আসামিদের সংশোধনের জন্য আদালত এ রায় প্রদান করেন। আগামী এক বছর আদালতের শর্ত পূরণের ব্যর্থ হলে আদালত পরবর্তীতে নতুন পদক্ষেপ নেবেন।