বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া - ফাইল ছবি

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে সময়মতো আদালতে হাজির না হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হরতালের কারণে তিনি আদালতে যেতে পারেননি।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানিয়েছেন, হরতালে নিরাপত্তার কারণে খালেদা জিয়া আজ সময় অনুযায়ী আদালতে হাজির হতে পারেননি। তাই আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ৭ ডিসেম্বর।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালতকে জানান, খালেদা জিয়া একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের প্রধান। নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি বাসা থেকে বের হতে পারছেন না। এ সময় আদালত বলেন, ‘আমরা সবাই উপস্থিত হতে পেরেছি। তিনি পারলেন না কেন? দুপুর ১২টা পর্যন্ত আমরা উনার জন্য অপেক্ষা করেছি।’ এ সময় আইনজীবী বলেন, ‘আপনি যদি অনুমতি দেন, দুপুর ২টার পর তিনি আদালতে হাজির হবেন।’

খালেদা জিয়ার আইনজীবীর বক্তব্যের বিরোধিতা করেন বিপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। এ পর্যায়ে আদালত খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে আগামী ৭ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১২ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকাবস্থায় একই আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। দেশে ফিরেই তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। এর পর থেকে প্রতি সপ্তাহেই তিনি আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছিলেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়।

কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

জজকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম