বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত

প্রাথমিকের দপ্তরিদের চাকরি কেন রাজস্ব খাতে স্থানান্তর নয় জানতে চেয়ে রুল জারি

দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত ৬১৮ জনের চাকরি কেন রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পৃথক দুটি রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও অ্যাডভোকটে নাসিরউদ্দিন খান সম্রাট। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমীন সরকার।

এরআগে ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর একই আদালত ১৮৫ জনের বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন। দেশের বিভিন্ন এলাকার ৬১৮ জন দপ্তরি কাম প্রহরীর করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ আবার এ রুলজারি করা হয়।

সরকার ২০১২ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগের জন্য নীতিমালা তৈরি করে। এরপর সারা দেশে ৩৬ হাজার ৯৮৮টি পদ সৃষ্টির মাধ্যমে দপ্তরিদের অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। এ অবস্থায় রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশনা চেয়ে সংশ্লিষ্টরা রিট আবেদন করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।