পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনের আপিল শুনানি পিছিয়েছে

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানি আরও চার সপ্তাহ পিছিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার (৬ মার্চ) রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সময় আবেদন করেন অতিরিক্ত আটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।

এ আদেশের ফলে ৪ সপ্তাহ পর আপিল মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।

গত ৩০ জানুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির জন্য আজকের (৬ মার্চ) দিন ধার্য করেন আদালত। এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৩ মার্চ লিভ টু আপিল গ্রহণ করেন আপিল বিভাগ।

২০১০ সালের ১২ ও ১৩ এপ্রিল বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন বাতিল করে রায় দেন।

রায়ে শান্তিচুক্তির পর প্রণীত পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ আইন অসাংবিধানিক বলে রায় দেয় হাইকোর্ট। তবে রায়ে পার্বত্য শান্তিচুক্তিকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন, ১৯৯৮-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০০ সালে রাঙামাটির বাঙালি অধিবাসী মো. বদিউজ্জামান হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। পরে ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম শান্তিচুক্তির বৈধতা নিয়ে অপর একটি রিট আবেদন করেন। বদিউজ্জামানের রিট আবেদনের পর হাইকোর্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানাতে সরকারের প্রতি রুল জারি করেন।

অন্যদিকে তাজুল ইসলামের রিট আবেদনে পার্বত্য শান্তিচুক্তি কেন বাতিল করা হবে না তা জানাতে সরকারের প্রতি রুল জারি করা হয়। এই রিটের শুনানিতে আদালতের বন্ধু আইনজীবী হিসেবে টি এইচ খান ও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদের বক্তব্য গ্রহণ করেন আদালত। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও তাজুল ইসলাম।