মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি

সু চির বিরুদ্ধে মামলার আবেদন আমলে নেয়নি অস্ট্রেলিয়ার আদালত

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও কার্যত সরকার প্রধান (ডি-ফ্যাক্টো) অং সান সু চির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

আজ শনিবার (১৭ মার্চ) দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান পোর্টার বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অং সান সু চি অস্ট্রেলিয়ায় বিচারের সম্মুখীন হতে পারেন না।

কারণ হিসেবে আদালত বলেন- আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের প্রধান, সরকার প্রধান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্য একটি দেশে বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। তাদেরকে গ্রেপ্তার করা যাবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালতে কোনো প্রকার মামলা করা যাবে না।

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নির মতে, মিয়ানমারের সরাসরি সরকার প্রধান না হলেও তিনি কার্যত দেশটির সরকার প্রধান এবং ডি ফেক্টো নেত্রী। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় তার বিপক্ষে আদালতে কোনো মামলা হতে পারে না।

এর আগে শুক্রবার মেলবোর্নের ম্যাজস্ট্রেট আদালতে সু চির বিরদ্ধে প্রাইভেট প্রসিকিউশন অ্যাপ্লিকেশন জমা দেন অস্ট্রেলিয়ার পাঁচজন আইনজীবী। এদের মধ্যে একজন দেশটির ফেডারেল আদলতের সাবেক বিচারক।

মামলার আবেদনে সু চির বিরুদ্ধে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন বন্ধে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল আদালতের সাবেক বিচারক এবং মেলবোর্নের ব্যারিস্টার রন মের্কেল, আন্তর্জাতিক আইনজীবি মারিয়ন ইসোবেল, রিয়েলিনি শার্প, সিডনি হিউম্যান রাইটসের আইনজীবি আলিসন ব্যাটিসন এবং ডানিয়েল টেইলর সু চির বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিলেন।

প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতেক পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, রাখাইনকে রোহিঙ্গা শূন্য করতে এটি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পরিকল্পিত সহিংসতা। তারা সেখানে হত্যা, ধর্ষনসহ এবং নির্বিচারে রোহিঙ্গা হত্যায় লিপ্ত রয়েছে। জাতিসংঘ রাখাইনের অবস্থাকে ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ উল্লেখ করে এটাকে ‘জাতিগত নির্র্মূলের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহারণ’ বলে অভিহিত করেছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান