জেলা জজ আদালতে আপিলের বিধান রেখে পারিবারিক আদালত বিল পাস
সংসদ অধিবেশন (ফাইল ছবি)

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি ফের নাকচ

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের দাবি আবারও নাকচ করে দিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সেইসঙ্গে বয়সসীমা না বাড়ানোর কারণও ব্যাখা করলেন তিনি।

আজ বুধবার (০৬ জুন) সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য সেলিনা বেগমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগেও কয়েক দফা সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নটি উত্থাপন হলে তা নাকচ করে দেন মন্ত্রী।

সংসদে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ বছর করার কোনো উদ্যোগ আপাতত সরকারের নেই।

মন্ত্রী আরও জানান, পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে। ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সেক্ষেত্রে সাধারণ প্রার্থীদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পরেও চাকরিতে আবেদনের কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।

তিনি জানান, বর্তমানে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পেয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে, তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলে অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য বয়সসীমা ৩০ থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ বছর করার কোনো উদ্যোগ আপাতত সরকারের নেই।