আদালত প্রাঙ্গণে মইনুলের ওপর হামলা: বিএনপির দেড়শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে রবিবার আদালতে হাজিরের সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান শামু, জেলা যুবদল সভাপতি মাহফুজুন্নবী ডন, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়নসহ দেড়শ নেতাকর্মীকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ১০ বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আলতাফ হোসেন দুটি মামলা দায়ের ও ১০ বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার করার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আদালত চত্বরে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য নগরজুড়ে অভিযান চলছে।’

এদিকে বিএনপি মহানগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শামসুজ্জামান শামু অভিযোগ করেন, ‘রবিবার আমরা কয়েকজন একটি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে গিয়েছিলাম। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে বহনকারী গাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করেছে। তার দিকে জুতা নিক্ষেপ করেছে আর পঁচা ডিম মেরেছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই।’

তবে মহানগর আওয়ামী লীগের মহানগর সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল অভিযোগ করেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাসীরা আদালত প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, কাটা রাইফেল-রাম দা নিয়ে যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তা হাজার মানুষ, আইনজীবীরা প্রত্যক্ষ করেছে। তারা যে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে তার প্রমাণ, তারা আগে থেকে এসব অস্ত্র সস্ত্র আদালত এলাকায় নিয়ে এসেছিলো। তারা আইনের প্রতি কোনও দিনই শ্রদ্ধাশীল ছিলো না।’ তিনি অবিলম্বে ঘটনার নির্দেশদাতাসহ সবাইকে গ্রেফতার করার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, মানহানির মামলায় হাজিরা দেওয়ার পর রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে মইনুল হোসেনকে রংপুর আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও পাল্টা মিছিল বের করলে দুইপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলিবর্ষণ করে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। এরমধ্যে বাদীপক্ষের আইনজীবী এপিপি দিলশাদ হোসেন মুকুলের মাথা ফেটে যায়।