দশম জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ

চিফ হুইপের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই

সোনালী ব্যাংক থেকে চিফ হুইপ আসম ফিরোজের নেওয়া ২৭ কোটি টাকা ঋণের সুদ মওকুফ ও ঋণের সর্বশেষ পুনঃতফসিল স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। এর ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসম ফিরোজের অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার (২৫ নভেম্বর) চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই আদেশ দেন।

আদালতে আসম ফিরোজের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল-ইসলাম ও ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। অন্যদিকে, রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

দশম জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আসম ফিরোজের সোনালী ব্যাংক থেকে নেওয়া ২৭ কোটি টাকা ঋণের সুদ মওকুফ ও ঋণের সর্বশেষ পুনঃতফসিল গত ২২ নভেম্বর স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মেসার্স পটুখালী জুট মিলের ঋণ বারবার পুনঃতফসিল করার ক্ষেত্রে আইনি বাধ্যবাধকতা মানতে সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতা কেন আইনগত বহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২২ নভেম্বর বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও এম. মাইনুল ইসলাম। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।

পরে আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণ ও নীতি বিভাগ (ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট-বিআরপিডি)’র ১৫তম সার্কুলার অনুযায়ী ঋণ তিন বারের বেশি পুনঃতফসিল করা যায় না। কিন্তু মেসার্স পটুয়াখালী জুট মিলস লিমিটেডের নামে আসম ফিরোজের নেওয়া ঋণ সোনালী ব্যাংক ১৯৯৪ সাল থেকে এবছর পর্যন্ত মোট নয় বার রিসিডিউল (পুনঃতফসিল) করেছে। সর্বশেষ নয়বারের মতো রিসিডিউল দেয়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক এটির অনুমোদনও দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তটিই স্থগিত করে দিয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।”

প্রসঙ্গত, এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক রিটটি দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দেন। হাইকোর্টের সেই আদেশ রবিবার (২৫ নভেম্বর) স্থগিত করেন চেম্বার আদালত।