১২ কোটি টাকা ফি: আইনজীবীর বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট
ঊচ্চ আদালত

পরকীয়ার সাজা সংক্রান্ত আইন নিয়ে রিট শুনানি ৫ মার্চ

পরকীয়া প্রেম করার অপরাধে সাজা সংক্রান্ত দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানির জন্য আগামী ৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই দিন ঠিক করে আদেশ দেন।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক। অপরদিকে রিটের পক্ষে রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি এই রিটটি করা হয়। রিটে ৪৯৭ ধারা কেন অসাংবিধানিক ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এছাড়া রিটে ৪৯৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশনার আবেদনও রয়েছে।

অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটের বিষয়ে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী কোনো স্ত্রী পরকীয়া করলে যার সাথে পরকীয়া করবে শুধু সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে। অথচ স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর কিছুই করার নেই। একইভাবে স্বামী পরকীয়া করলে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে বা যার সাথে পরকীয়ায় জড়িত হবে তার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিকার পাবেন না। উপরন্তু, স্বামী যদি কোনো বিধবা বা অবিবাহিত নারীর সঙ্গে পরকীয়া জড়িয়ে পড়েন এবং স্ত্রী যদি স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে পরকীয়ায় জড়িত হয় তা আইনত বৈধ।

তিনি বলেন, এই আইন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটা অদ্ভূত ও বৈষম্যমূলক।