অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে

বিচারকদের নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে বিচারকদের নিয়ে মানহানিকর ও অপমানজনক স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে’র বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মঙ্গলবার (১৮ জুন) দণ্ডবিধির ৫০০/৫০১ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন রবিউল হাসান চৌধুরী। আদালতের বিচারক আল ইমরান খান মামলা আমলে নিয়ে অভিযোগ তদন্তে ডিবিকে নির্দেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসাইন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত কুমার দেবুল দে তার নিজ নামে পরিচালিত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১৩ জুন একটি পোস্ট করেন। যা বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সম্মানিত বিচারকগণের জন্য মারাত্মকভাবে মানহানিকর ও অপমানজনক। বাদী একজন দেশের নাগরিক হিসেবে সেই পোস্ট পড়ে ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ অপমানিত হয়ে মামলাটি দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত সেটা ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।’

মামলার আরজিতে উল্লেখিত আইনজীবী কুমার দেবুল দে’র ফেইসবুক পোস্টে বলা হয়,”ডিসিরা অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষমতা চায়, এতে বিচারিক অফিসাররা রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করে ফেলতেছে। আমি পরের জনদেরও বেশি বিশ্বাস করতে নারাজ। সত্যি কথা বলতে কি দেশের বিচার ব্যবস্থা ২০০৭ এর আগেও দেখেছি আবার ২০০৭ এর পরেও দেখেছি পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরো খারাপ হয়েছে। যে যাচ্ছে লঙ্কায়, সে হচ্ছে রাবণ। বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ কিছু মানুষের নতুন করে কিছু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, কিছু সুযোগ-সুবিধা, কিছু স্ট্যাটাস বৃদ্ধি এসব ঘটেছে। কিছু নতুন নতুন ভবনের সৃষ্টি করেছে মনে হয়। এর বেশি কিছু না। স্বাধীনতা সব সময় শক্ত সামর্থ্যদের জন্য, যা তারা নিজেরাই আদায় করে নেয়। দুর্বলদের জন্য হলেও পৃথকীকরণ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এসব যা কেউ দিয়ে দেন। শারীরিকভাবে পৃথক হলেও মানসিকভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীন হতে হলে যা দরকার তা বেশিরভাগ বিচারকের নেই। এই দেশের বিচার বিক্রি বন্ধ হয় নাই, বরং বেড়েছে। ন্যায়বিচার সে কোন দিনও এদেশের মানুষ হবে কিনা আমি জানিনা। এই দেশে যারাই বিচারক (হোক সে সেই ২০০৭ এর আগে পরে) তারাই বিচারের ফেরীওয়ালা, মূল্য দিয়ে বিচার বিক্রি করে”।

চট্টগ্রাম থেকে রায়হান ওয়াজেদ চৌধুরী