কথিত যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনু

কিশোর গ্যাংয়ের ‘বড় ভাই’ টিনু রিমান্ডে

নগর যুবলীগের কোনো পদে নেই তিনি। কিন্তু দাপিয়ে বেড়ান যুবলীগ নেতা পরিচয়ে। তাঁর রয়েছে নিজস্ব ছিনতাইকারীর দল ও কিশোর গ্যাং। চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ, চকবাজার, বাকলিয়া ও কালুরঘাট এলাকায় তাঁর আধিপত্য। শেষ রক্ষা হয়নি এই সন্ত্রাসীর। সম্প্রতি আটক হওয়া কথিত যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনুর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা মামলায় একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. খাইরুল আমীনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সিএমপির সিনিয়র সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দীন আহমেদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত রোববার রাতে নগরের কাপাসগোলার বাসায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গুলিসহ টিনুকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। অভিযানে একটি পিস্তল ও শটগান এবং ৭২টি গুলি উদ্ধার হয়। গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর সহযোগী জসিম উদ্দিনকে। এ ঘটনায় র‍্যাব মামলা করেছে। টিনুর গ্রেপ্তারে চকবাজার, বাকলিয়া এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে।

র‍্যাবের দাবি, তাঁর ‘নিয়ন্ত্রণাধীন’ এলাকার ফুটপাত, কোচিং সেন্টার, শপিং মল ও টমটম (গাড়ি) থেকে সহযোগীদের মাধ্যমে মাসে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।

র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মিমতানুর রহমান বলেন, এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক, ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, ছিনতাই, অস্ত্র ব্যবসা ও কিশোর গ্যাং গড়ে তুলেছেন নুর মোস্তফা। ভয়ে ভুক্তভোগীরা কেউ মামলা করেন না।

গ্রেপ্তারের করে টিনুর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করার পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মহানগর মুখ্য হাকিম আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ টিনুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল। আদালত শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তারিখ নির্ধারণ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আজ শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।