সরকার ও চার পত্রিকাকে এস আলম গ্রুপের আইনি নোটিশ
আইনি নোটিশ

কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণে কমিশন গঠনের দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ

ধান, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুনসহ সব কৃষিপণ্য ও পোল্ট্রি ফিড থেকে উৎপাদিত মুরগি, ডিম ও ডেইরি দুধের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণে কমিশন গঠনের দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) নোটিশটি প্রেরণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম। নোটিশে কৃষি মন্ত্রণালয় ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকসহ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে কৃষক তাঁর শ্রমে ঘামে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মযজ্ঞে জড়িত এই কৃষক শ্রেণী সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। আরও দুঃখের বিষয় হচ্ছে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদানে সরকারের কোনো তদারকি কমিশন নেই। যা সংবিধানের ১৪, ১৬, ৩১ এবং ৪২ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এমতাবস্থায় সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে হাইকোর্টের রিট করা হবে উল্লেখ করে কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের জন্য  কমিশন প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী জানান, রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কষ্ট করে কৃষকরা ফসল ফলালেও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। তাদের ফসল কিনে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু আমরা ঠিকই বেশি দামে পণ্য কিনছি।

অ্যাডভোকেট মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ধান, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন ছাড়াও মৌসুমি কৃষিপণ্য সবজি, শিম, লাউ, তরকারির ন্যায্য মূল্য নির্ধারণে কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়েছে নোটিশে। কৃষকরা সার, তেল খরচ ও কঠোর পরিশ্রম করে পণ্য উৎপাদন করেন। কিন্তু ন্যায্য মূল্য না পাওয়াই হতাশার কারণে উৎপাদনে উৎসাহ হারাচ্ছেন। তাই এসব পণ্যের ন্যূনতম ন্যায্য মূল্য নির্ধারণে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।