কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাতনামা আসামিকে অভিযুক্ত করে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ধর্ষককে ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।
পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকার আশপাশকে ধর্ষণের ঘটনাস্থল হিসেবে ধরে আলামত সংগ্রহের কাজ করছে।
এ বিষয়ে ডিবি উত্তরের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্ষণের আলামত সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা নিশ্চিত নই, সেখানেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, নাকি অন্য কোথাও নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।’
ওই ছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একটি হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
ছাত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর গণমাধ্যমকে জানান, কুর্মিটোলায় বান্ধবীর বাসায় যেতে গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই ছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ওঠেন। বাস থেকে কুর্মিটোলা এলাকায় নামার পর অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন তাঁর মুখ চেপে ধরে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে চেতনা ফেরার পর তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বান্ধবীর বাসায় যান। বান্ধবীকে ঘটনা জানান। এরপর সহপাঠীরা তাঁকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল রয়েছে ঢাবি ক্যাম্পাস। এ ঘটনায় বিচার নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।