রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় র্যাবের হাতে গ্রেফতার ‘ক্রমিক ধর্ষক’ মজনুকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুনানি শেষে আদালত ওই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা নামার পর তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ওই ঘটনায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু নিজেই স্বীকার করেন তিনি একজন সিরিয়াল রেপিস্ট (ক্রমিক ধর্ষক)।
গ্রেফতার মজনুকে নিয়ে বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, মজনু মাদকাসক্ত। তার বাড়ি হাতিয়ায়। তিনি এর আগেও ওই একই এলাকায় ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী যেদিন ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সেদিনের ঘটনায় র্যাব জানায়, সেদিন মজনু অসুস্থতার কারণে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে দেখেন ও তাকে ধর্ষণ করার জন্য টার্গেট করেন। কয়েক বছর আগে মজনু বিয়ে করেছিলেন, তার স্ত্রী মারা গেছেন। পেশায় হকার মজনু চুরি-ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত বলে জানিয়েছে র্যাব।