গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে দাম লিখে দিতে সময় বাড়ল ১ মাস

গৃহস্থালিসহ হোটেল ও রেস্তোরায় ব্যবহৃত তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডারের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) লিখে দেওয়াসহ আন্তর্জাতিক বাজারে এলপি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে দেশে কি হারে দাম বাড়বে তা নির্ধারণে একটি মূল্য নির্ধারণ কমিটি গঠনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আরও এক মাস সময় পেল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।

আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় রোববার (১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সময় বৃদ্ধি করে আদেশ দেন।

আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে দাম লিখে দেয়া এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে দেশে কি হারে দাম বাড়বে তা নির্ধারণে কমিটি গঠনের বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশনা পালন করতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, গত ২০ জানুয়ারি আদালত গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে দাম লিখে দেয়া এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে দেশে কি হারে দাম বাড়বে তা নির্ধারণে কমিটি গঠনের বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে ১ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। নির্ধারিত দিনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আদালতে হাজির থাকলেও প্রতিবেদন জমা দেননি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।

তিনি বলেন, আদালত এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের এ আচরণে উষ্মা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে কমিশনের চেয়ারম্যানকে উপরোক্ত বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলেছেন।

এর আগে, ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান। রিটে এলপিজি সিলিন্ডারের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লিখে দিতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এলপি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে দেশে কি হারে দাম বাড়বে তা নির্ধারণে একটি মূল্য নির্ধারণ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।