ফিটনেসবিহীন গাড়ির মামলায় পক্ষভুক্ত হলো ফিলিং স্টেশন

ফিটনেস সনদবিহীন গাড়িতে জ্বালানি সরবরাহ না করার সুয়োমোটো মামলায় পক্ষভূক্ত হয়েছে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারসন অ্যাসোসিয়েশন।

অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে করা এক পক্ষভূক্তির আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (২ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম আদালতে আবেদনটি করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না, মাহজাবিন রাব্বানী দীপা, কাজী শামসুন নাহার কনা ও ঈশিতা পারভীন। বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন রাফিউল ইসলাম। ফিলিং স্টেশনের আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ওবায়দুর রহমান।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

আগামী ১ জুন এ সুয়োমোটো রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য আছে।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ফিটনেসবিহীন, নিবন্ধনহীন, চলাচলের অযোগ্য অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা এবং এসব গাড়ি বন্ধে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিআরটিএ এবং পুলিশের সমন্বয়ে প্রতিটি জেলায় একটি ট্রাস্ক ফোর্স গঠন করতে বলা হয়।

জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও সড়ক পরিবহন সচিব আদালতের নির্দেশনা পালন করতে হবে। এছাড়া টাস্কফোর্সের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে ডিসিদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২৩ অক্টোবর ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িকে পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি না দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি সংক্রান্ত একটি ইংরেজি দৈনিকে গত ২৩ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। এরপর ওইদিন আদালত রুলসহ আদেশ দেন।

‘রুলে ফিটনেসবিহীন গাড়ি, রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, পাশাপাশি সংবিধানের ৩২ ধারার আলোকে জীবন বাঁচার অধিকার বাস্তবায়নে কেন মোটর ভেহিক্যাল আইন ১৯৮৩ এর বিধানগুলো সঠিকভাবে পালনের জন্য কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

রুলের বিবাদীরা হলেন- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, চেয়ারম্যান বিআরটিএ, ঢাকার ডিসি ট্রাফিক (উত্তর ও দক্ষিণ), বিআরটিএ ডিরেক্টর (রোড নিরাপত্তা) ও দুদক চেয়ারম্যান।