সর্বোচ্চ আদালত
সর্বোচ্চ আদালত

হত্যা মামলায় একই সময়ে ৩ আসামির জবানবন্দি, বিচারককে তলব

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একটি হত্যা মামলায় একই সময়ে তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে ২৯ মার্চ তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

ওই মামলায় দুই আসামির জামিন আবেদনের শুনানিতে রোববার (২ মার্চ) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী ও রেজাউল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ওই ম্যাজিস্ট্রেট ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই একই সময়ে, একই স্থানে ওই মামলার তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। অথচ আইনে আছে জবানবন্দি গ্রহণের আগে আসামিকে তিন ঘণ্টা সময় দিতে হবে। জামিন আবেদন শুনানিতে বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। কীভাবে একই সময়ে তিন আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করা হলো, সে বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে ব্যাখ্যা দিতে ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে ২৯ মার্চ আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আবেদনকারী পক্ষ জানায়, ২০১৮ সালের ৫ জুলাই ভ্যানচালক খলিল ফকির হত্যার অভিযোগে দুজনকে আসামি করে শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় মামলাটি করেন নিহত ব্যক্তির বাবা। রুবেল চৌকিদার, লিটন সানি ও আলী হোসেন ব্যাপারীকে অন্তর্ভুক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এ মামলায় ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই তিন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন শরীয়তপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন। যেখানে তিনজনকে একই দিন, একই সময় ও স্থানে দেখানো হয়। এ অবস্থায় দুই আসামি লিটন সানি ও আলী হোসেন ব্যাপারী জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর শুনানিতে আসামিপক্ষ বিষয়টি আদালতের নজরে আনে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ব্যাখ্যা জানাতে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ২৯ মার্চ আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে লিটন সানি ও আলী হোসেন ব্যাপারীকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।