মাস্ক (প্রতীকী)

মাস্ক পরতে বাধ্য করা এবং সচেতনতা বাড়াতে মোবাইল কোর্ট

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মানুষকে মাস্ক পরতে বাধ্য করা এবং এ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় মাঠ প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার (১০ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে একথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভায় অংশ নেন। সচিবালয় প্রান্ত থেকে ছয়জন মন্ত্রী সংযুক্ত ছিলেন।

করোনা ক্রমশ বাড়ছে, সেই জায়গা থেকে মন্ত্রিসভার কনসার্ন জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জেনারেল আলোচনা হয়েছে যে মানুষকে অন্তত সচেতন থাকতে হবে। এরমধ্যে দেখা গেছে অনেক মানুষের মধ্যে সচেতনতাটা একটু কমে গেছে। সেটা আরও বাড়াতে হবে। ওয়ান অব দ্য প্রিভেন্টিং আসপেক্ট অব করোনা হ্যান্ডেলিং হলো তার একটা প্রিভেন্টিভ অ্যাকশনে থাকা।

‘এগুলো ক্যাম্পেইনে নিয়ে আসা ও যথাসম্ভব যদি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট করা যায়…। এগুলো নিয়ে কালও সচিব কমিটিতে আলাপ-আলোচনা করে ডিরেক্টিভ দিয়ে দিয়েছি এবং মাঠ প্রশাসনকেও বলে দিয়েছি যে, ইনফোর্সমেন্টেও যেতে হবে। ’

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও এ সংক্রান্ত খবর প্রচার করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

‘বিশেষ করে তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরও ম্যাসিভ প্রচারের জন্য বলা হয়েছে। ফিজিক্যালি মাঠে গিয়ে মাইক দিয়ে, বিলবোর্ড দিয়ে- যাতে মানুষ আর একটু সতর্ক হয়। কারণ, মানুষ যদি প্রটেকশনে না যায় তাহলে… এর মেইন অ্যাসপেক্ট হলো কমিউনিটি…। সে ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে। রেডিও, টেলিভিশন সব জায়গায় প্রচার, তথ্য মন্ত্রণালয়কে বিশেষভাবে বলা হয়েছে। সচিব কমিটির মিটিংয়ে খুব স্ট্রংলি রিকমেন্ড করেছি। ’

ভ্রাম্যমাণ আদালত কেন পরিচালনা করা হবে, সচেতন করার জন্য না মানুষ যে মানছে না সেটার জন্য- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দু’টিই হবে। ধরেন, একেবারে ম্যাসিভ কোনো ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট করার ক্ষেত্রে যদি পানিশমেন্ট দেওয়া হয়, এই জিনিসটা প্রচার করার জন্য, যে আজ মাস্ক না পরার জন্য বা সেফটি মেজর না নেওয়ার জন্য এতোগুলো লোককে বাসে বা বাজারে বা লঞ্চে পানিশমেন্ট দেওয়া হয়েছে। মাস্ক পকেটে থাকে, কিন্তু মানুষ পরে না।

(বাংলানিউজ)