গ্রেফতার (ছবি - প্রতীকী)
গ্রেফতার (ছবি - প্রতীকী)

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন: প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ২

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে নিজ ঘরে ধর্ষণচেষ্টা এবং বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানির ভিডিও ধারণ করে তা তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি বাদল ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গতকাল রোববার মধ্যরাত থেকে আজ সোমবার (৫ অক্টোবর) ভোররাত পর্যন্ত র‌্যাব-১১-এর নিরবচ্ছিন্ন সাঁড়াশি অভিযানে বাদলকে ঢাকা হাইওয়ে এবং দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।

তিনি জানান, দেশব্যাপী চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আমাদের কাছে খবর আসে, জড়িত কয়েকজন গা ঢাকা দেয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় অবস্থান নিয়েছেন। ওই খবরে র‌্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। মধ্যরাতে মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা হাইওয়ে এলাকা থেকে এবং ভোরে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও জানান, দুপুরে নারায়ণগঞ্জ র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। এরপর আসামিদের সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।

নির্যাতনের ঘটনার ৩৩ দিন পর ৯ জনকে আসামি করে রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন নির্যাতিতা গৃহবধূ (৩৫)।

এর আগে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক আসামিকে রোববার বিকেল ৪টায় এবং অপর আসামিকে রাত ১১টায় একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তারা হলেন- একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার হারিদন ভূঁইয়া বাড়ির শেখ আহম্মদ দুলালের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (২০) ও একই এলাকার মোহর আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. রহমত উল্যাহ (৪১)।