আদালত (প্রতীকী)
ভার্চুয়াল আদালত (প্রতীকী)

মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্ল্যাহ হত্যা মামলার রায় ১৬ নভেম্বর

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরীকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর অভিযোগে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ রোববার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার সামছুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণার জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

আসামিরা হলেন- গুলজার হোসেন, শম্পা, আশিক, শিহাব আহমেদ ওরফে শিবু, আহসানুল কবির ইমন, তাজুল ইসলাম তানু, জাহাঙ্গীর খাঁ ওরফে জাহাঙ্গীর এবং রফিকুল ইসলাম ওরফে আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন।

এদের মধ্যে শম্পা, জাহাঙ্গীর ও আহসানুল কবীর বর্তমানে কারাগারে আছেন। অন্য আসামিরা পলাতক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন কোন্ডা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরী। নিখোঁজের পরদিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার একটি হাসপাতালের পাশ থেকে তার আগুনে পোড়া বিকৃত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আসামিরা তাকে হত্যা করে মরদেহ গোপন করার উদ্দেশে পুড়িয়ে ফেলে। পরে তার সঙ্গে থাকা কাগজ ও এটিএম কার্ড দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী।

সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

২০১৫ সালের ২ জুলাই আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।