পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যু : হাইকোর্টে এসআই হাসানের জামিন
নিহত রায়হান আহমদ (ইনসেটে)

পুলিশ হেফাজতে রায়হান নিহতের ঘটনায় কনস্টেবল টিটু গ্রেফতার

সিলেটের বন্দর বাজার থানায় পুলিশের হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় সাময়িক বরখাস্তকৃত কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করবে পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম।

এর আগে, গত ১২ অক্টোবর পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগে রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপরই মহানগর পুলিশের একটি তদন্ত দল সার্বিক বিষয় তদন্ত করে ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া, তৌহিদসহ চারজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজনেক প্রত্যাহার করা হয়।

উল্লেখ্য, নগরীর নিহারীপাড়ার বাসিন্দা রায়হান রিকাবিবাজার এলাকার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করতেন। গত ১০ অক্টোবর রাতে বাসায় না ফেরায় তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের সদস্যরা।

পরদিন ১১ অক্টোবর ভোরে রায়হানের পরিবারের সদস্যদের কাছে বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে ফোনে জানানো হয়, রায়হান পুলিশ হেফাজতে আছেন। তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে হলে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। তাঁরা এ সময় পুলিশ ফাঁড়িতে যান। তবে গিয়ে জানতে পারেন, রায়হান মারা গেছেন। পরে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।

এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে রায়হানের পরিবারকে জানানো হয়, নগরীর কাস্টঘর এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ধরা পড়ে গণপিটুনিতে রায়হান আহত হন। পরে তিনি মারা যান।

তবে রায়হানের পরিবার খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, কাস্টঘর এলাকায় কোনো ছিনতাই বা গণপিটুনির ঘটনা ঘটেনি। তখন পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর অভিযোগ তোলা হয়।