সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের মানববন্ধন

মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে সনদ চান এমসিকিউ উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা

করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের লিখিত ছাড়াই শুধু মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে আইনজীবী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।

২০১৭ এবং ২০২০ সালে বার কাউন্সিলের প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে মানববন্ধন করে এ দাবি জানান তারা।

মানববন্ধে উপস্থিত শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা বলেন, আমরা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তকরণ এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়ার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০১৭ সালের ২১ জুলাই এবং চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশ আইনজীবী। লিখিত পরীক্ষা ছাড়া আইনজীবী সনদ দিলে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবেন তারা। আর এতে সরকারের কোনো রাজস্ব ঘাটতি হবে না বলেও দাবি শিক্ষানবিশদের।

তারা জানান, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আইনজীবী অন্তর্ভুক্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ (নৈর্ব্যক্তিক) উত্তীর্ণ প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে কাল বিলম্ব না করে শুধু ভাইভা দিয়ে আইনজীবী সনদ প্রদান করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে বার কাউন্সিল কর্তৃক এনরোলমেন্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে কোনো এনরোলমেন্ট পরীক্ষা না হওয়ায় শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে পরীক্ষার দাবিতে আমরণ অনশন করেন।

এরপর গত ৭ জুলাই অবস্থান কর্মসূচি থেকে আমরণ অবস্থান কর্মসূচিতে যান তারা। মানববন্ধন সমাবেশেরও ডাক দেন। পরে তারা দাবি আদায়ে সমাবেশ করেন। গত ৩০ জুন আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক ও সনদ দানকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রতি এই আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এর আগে সনদের গেজেট প্রকাশের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও বার কাউন্সিলের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। এরপর গত ৮ জুলাই থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে যান শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।

তারা আরও বলেন, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী তালিকাভুক্তকরণ পরীক্ষার প্রিলিমিনারি সম্পন্ন হয় এবং ওই পরীক্ষায় ৯ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হই। এছাড়াও পূর্বের ২০১৭ সালের পরীক্ষায় এমসিকিউ উত্তীর্ণ আরও প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী পাস করে লিখিত পরীক্ষার আশায় বসে আছেন। তাই বর্তমান বার কাউন্সিলের কমিটি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে ভাইভার মাধ্যমে আইনজীবী সনদ প্রদানের আহ্বান জানান তারা।