নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার আসামি নূর হোসেন
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার আসামি নূর হোসেন

নূর হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার রায় ১০ ডিসেম্বর

নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি চাঁদাবাজির মামলার রায় আগামী ১০ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিন এ দিন ধার্য করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন সুইট জানান, মোট সাতটি মামলায় নূর হোসেনকে আদালতে আনা হয়। এর মধ্যে একটি চাঁদাবাজি মামলার রায় আগামী ১০ ডিসেম্বর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। বাকি ছয়টি মামলার শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ একই তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, নূর হোসেনকে অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ সাত মামলায় বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) আদালতে হাজির করা হয়। সকাল ৯টায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নূর হোসেনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়। এ জন্য আদালত এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। মামলার কার্যক্রম শেষে তাকে ফের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।

যে ছয়টি মামলায় তার সাক্ষ্যগ্রহণ হয় তার মধ্যে তিনটি ছিল অস্ত্র মামলা। ২০১৪ সালে ৭ খুনের পর নূর হোসেনের সিদ্ধিরগঞ্জের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নূর হোসেনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ৩টি মামলা করে পুলিশ।

এছাড়া ২০১৪ সালের ১২ জুন ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে অটোরিকশা চালক সাইদুল ইসলামের মামলায় নূর হোসেন, তার ভাই নূর উদ্দিন, তাদের ভাতিজা শাহজালাল বাদল, লোকমানসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়।

অন্যদিকে শিমরাইলে নূর হোসেনের মাদক স্পট থেকে ২৯০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের মামলায় বাদী পুলিশের এসআই শওকত হোসেন।

এছাড়াও ২০১৩ সালের ৩০ মে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হিরাঝিল এলাকার ইকবাল হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে নূর হোসেন ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না পেয়ে ইকবালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে নূর হোসেন ও তার সহযোগীরা।

এ ঘটনায় ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে নূর হোসেন, তার ভাতিজা কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।

সাত খুনের ঘটনার পর নূর হোসেনের বৈধ অস্ত্রটির লাইসেন্স বাতিল করে জেলা প্রশাসন। সেটি জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু সেটি জমা না দিয়ে নূর হোসেন দেশের বাইরে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ মামলায়ও নূর হোসেন অচিরেই সাজাপ্রাপ্ত হবেন বলে জেলা জজ আদালতের পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন আশা প্রকাশ করেন।