হাইকোর্ট এবং ডিআইজি মিজান (ইনসেটে)
হাইকোর্ট এবং ডিআইজি মিজান (ইনসেটে)

ডিআইজি মিজানের দুর্নীতি মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিস্পত্তির নির্দেশ

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একইসঙ্গে এই মামলায় ডিআইজি মিজানুর রহমানের ভাগ্নে কারাগারে থাকা এসআই মাহমুদুল হাসানকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, আদালত মাহমুদুল হাসানকে জামিন দিয়েছেন। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতে মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে গত বছরের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) কমিশনের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলা করেন।

এতে ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মিজানুর রহমান তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২৪ লাখ ২১ হাজার ২২৫ টাকায় শুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ২১১ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকান বরাদ্দ নেন।

এছাড়া মিজানুর রহমান নিজে নমিনী হয়ে তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর একটি ব্যাংকে এফডিআর একাউন্ট করে ৩০ লাখ টাকা জমা করেন।

তবে দুদকের অনুসন্ধান চালু হওয়ার পরে সে টাকা ভাঙিয়ে সুদে-আসলে ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭ টাকা তুলে নেয়া হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, মিজানুর রহমান তার স্ত্রী রত্না রহমানের নামে কাকরাইলে ১৭৭৬ বর্গফুটের একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট ক্রয়ে ২০১১ সালে চুক্তিনামা করে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা নির্মাণ কোম্পানিকে পরিশোধ করেন।

পরে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটটি ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে দলিল রেজিস্ট্রি করেন। মাহমুদুল হাসান ২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক হিসেবে যোগ দেন।