কোনো হজ ও ওমরাহ এজেন্সি সৌদি আরব গিয়ে অপরাধ করলেও, বাংলাদেশে সেই অপরাধের বিচার করার বিধান রেখে নতুন আইনের খসড়া সংসদে তোলা হয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার এ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি গঠন করবে। হজ ও ওমরাহ এজেন্সিকে শর্ত মেনে নিবন্ধন নিতে হবে।
রোববার (৪ এপ্রিল) ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিল-২০২১ সংসদে তোলেন। পরে বিলটি ৪০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, দেশে হজের চুক্তি হওয়ার পরে কেউ সৌদি আরব গিয়ে ঠকালে ওই অপরাধ বাংলাদেশে হয়েছে বলে গণ্য করে আইন অনুযায়ী বিচার করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনে হজ এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানার সুযোগ রাখা হয়েছে। আর ওমরাহ এজেন্সি অনিয়ম করলে তারা নিবন্ধন হারানোর সঙ্গে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়বে।
এছাড়া জামানত বাজেয়াপ্ত, নিবন্ধন স্থগিত, সতর্কীকরণ ও তিরস্কারের শাস্তি রয়েছে। নিবন্ধন পেতে হলে হজ এজেন্সিকে ৩ বছর এবং ওমরাহ এজেন্সিকে দুই বছরের ট্র্যাভেল এজেন্সি পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো এজেন্সি পরপর দুইবার তিরস্কৃত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার নিবন্ধন দুই বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যাবে। কোনো এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল হলে ওই এজেন্সির অংশীদার বা স্বত্বাধিকারীরা পরে কখনও হজ বা ওমরা এজেন্সির নিবন্ধন পাবেন না। অন্য কোনো এজেন্সির কাজেও সম্পৃক্ত হতে পারবেন না। হজ এজেন্সিগুলো সত্ত্ব পরিবর্তন করতে চাইলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।