ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল

আইনজীবীদের ঝুঁকি নিরসনে আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করা প্রয়োজন

সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে দেশের আদালত কীভাবে চলতে পারে সে প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল এক ভিডিও বার্তায় চলমান লকডাউনে আইনজীবীদের নানান ঝুঁকি নিরসনে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে এগিয়ে আসার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে আইনজীবীদের জন্য একটা আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করা উচিত হবে বলে তিনি মনে করেন।

সোমবার (৫ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল তার ব্যক্তিগত ফেইসবুকে ভিডিওবার্তাটি শেয়ারের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করেন।

ভিডিও বার্তায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক বলেন, আজকে থেকে লকডাউন শুরুর মাধ্যমে আমাদের আদালত এবং আমাদের পেশা স্থবিরতার মধ্যে পড়েছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে মতামত প্রকাশ করার জন্য আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আজকে থেকে সীমিত পরিসরে সুপ্রিম কোর্টে কয়েকটি বেঞ্চ এবং সারাদেশে শুধু মাত্র ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। কার্যত এতে করে আমাদের এই পেশা এবং বিচার কার্যক্রম অনেকাংশেই ক্ষতিগ্রস্ত ও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এই সময়ে রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, করোনা ভয়াবহতা যেভাবে বাড়ছে তাতে করে লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে সেক্ষেত্রে আমি অনুরোধ করবো আইনজীবীরা যেন পেশাগত ঝুঁকির মধ্যে না পড়েন। সেজন্য অবলম্বে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে আইনজীবীদের জন্য একটা আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করতে হবে। গতবছর আইনজীবীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষায়িত হাসপাতাল গুলোর সাথে চুক্তিবদ্ধ হলেও এইবার সেটা আমরা পারিনি। আমি বাংলাদেশের সকল বারের নেতৃত্বস্থানীয় সকলকে অনুরোধ করবো যেন তারা স্ব স্ব জেলার হাসপাতাল গুলোর সাথে যোগাযোগ করে আইনজীবী এবং তাদের পরিবারের সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করেন এবং সে সাথে বিচার বিভাগের অভিভাবক হিসাবে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করবো আইনজীবী এবং তাদের পরিবার যেন সু-চিকিৎসা পান সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করতে।

বার কাউন্সিল সম্পাদক আরও বলেন, গতকাল আদালত খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহনের পূর্বে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করি তিনি যেন এমন ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন যাতে আইনজীবীরা তাদের পেশা সম্পূর্ণভাবে পরিচালনা করতে পারে। আমি সমস্ত আদালত গুলোকে প্রয়োজনে ভার্চুয়ালি চালানোর পক্ষে মতামত দিয়েছিলাম। লকডাউনের সময় যদি বৃদ্ধি পায় তবে অবশ্যই আমার এই মতামত গ্রহন করা হবে বলে আশাবাদী।