ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে গাড়ি ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। সায়নী ঘোষ পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেত্রী। তাঁর দলের দাবি, আগরতলায় নির্বাচনী সভা পণ্ড করতে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, শনিবার রাতে পুরভোটের প্রচার সেরে হোটেলে ফেরার পথে আগরতলার পথে যানজটে পড়ে তাঁদের গাড়ি। গাড়িতে চালকের পাশেই বসেছিলেন সায়নী। পেছনের আসনে ছিলেন শিল্পী ও রাজনীতিবিদ অর্পিতা ঘোষ ও রাজনীতিক সুদীপ রাহা। আশপাশের লোকজন সায়নীকে চিনতে পেরে হাত নাড়েন।
তৃণমূল নেতাদের দাবি, জনতা সায়নীকে দেখে ‘খেলা হবে’ স্লোগান তোলেন। তৃণমূল নেতারাও পাল্টা ‘খেলা হবে’ বলে সাড়া দেন। তারপর যানজট ছাড়লে হোটেলে ফেরেন সায়নীরা।
তৃণমূলের নেতাদের অভিযোগ, শনিবার মধ্যরাত থেকে তাঁদের হোটেল ঘিরে রাখে পুলিশ। রোববার বেলা ১১টায় পুলিশ হোটেলে ঢুকে সায়নীর খোঁজ করে এবং সায়নীকে জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি পুলিশ কর্মকর্তার কাছে জানতে চান সায়নীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কোনো নোটিশ আছে কি না? তৃণমূলের দাবি, পুলিশ কোনো নোটিশ দেখাতে পারেনি।
কিন্তু পুলিশ জানায়, সায়নীর বিরুদ্ধে ‘হিট অ্যান্ড রান’ (গাড়ি দুর্ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া)-এর অভিযোগ আছে। এরপর সুস্মিতা দেব, কুণাল ঘোষ, অর্পিতা ঘোষ সায়নীকে নিয়ে আগরতলা মহিলা থানায় যান।
সায়নী ঘোষসহ অন্য তৃণমূল নেত্রীরা থানায় পৌঁছোনোর পর হেলমেট পরা একদল দুষ্কৃতকারী লাঠি নিয়ে থানা চত্বরে হাজির হয়। থানায় ঢুকে তারা তৃণমূলের লোকজনের ওপর হামলা করে। বাইরে থাকা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
উল্লেখ্য, সায়নী ‘রং নাম্বার’, ‘আড্ডা’, ‘আস্তে লেডিস’, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন।