ময়মনসিংহে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বিএনপিপন্থি দুই আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ৯ আইনজীবীর জামিন বহাল রেখেছেন আদালত।
জামিন আবেদন শুনানি শেষে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে ওই মামলায় বিএনপিপন্থী ১১ আইনজীবী হাজির হন। এ সময় আদালতের বিচারক দুজনকে কারাগারে পাঠিয়ে বাকি ৯ জনের জামিন বহাল রাখেন।
কারাগারে পাঠানো আইনজীবীরা হলেন- অ্যাডভোকেট উছমান গণি মল্লিক ও অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তোফাজ্জল।
আদালতে বাদী পক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর কবীর উদ্দিন ভূঁইয়া। অন্যদিকে বিবাদী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকট আব্দুল গফুর।
পরে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। অ্যাডভোকট আব্দুল গফুর বলেন, আদালত উক্ত মামলার ২ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আর বাকি ৯ আইনজীবীর জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২১ আগস্ট রাতে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অ্যাডভোকেট নুরুল হকের নেতৃত্বে একটি মিছিল করা হয়। এতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ, অবমানকর শ্লোগান ও বক্তব্য প্রদান করা হয়। সে সঙ্গে তা ফেসবুক লাইভে প্রচার করা হয়।
এ ঘটনায় ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল হকসহ বিএনপিপন্থী ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ জেলা শাখার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ।
এরপর গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নেন বিএনপিপন্থী ১১ আইনজীবী।
এদিকে, জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৬ নভেম্বর ছিল আত্মসমর্পণের পর জামিন শুনানির দিন। সেদিন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করলে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেলাল উদ্দিন ১১ জন আইনজীবীর মধ্যে ৯ জনের জামিনের মেয়াদ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন। অপর দুজনকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জামিনের মেয়াদ শেষে মঙ্গলবার শুনানিতে ওই ৯ জনের জামিন বহাল রাখেন আদালত।