বিচারপ্রার্থীদের শিশুদের জন্য মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র (ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার) স্থাপন করতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। দেশের ৬৪ জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সুবিধাজনক স্থানে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করতে বলা হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. একরামুল হক শামীম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। গত ৯ ডিসেম্বর এ নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আইন ও বিচার বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় কর্মসম্পাদন সূচক ৪.৩.২ বাস্তবায়নের জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে ৬৪টি জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সুবিধাজনক স্থানে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র স্থাপন করে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
এছাড়া, ইতোমধ্যে যেসব জেলায় মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে সেসব জেলা থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ছবিসহ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত তথ্য প্রেরণের অনুরোধ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার চেয়ে শিশুর রিট
২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর নিরাপদ পরিবেশে ও স্বাচ্ছন্দ্যে মায়ের বুকের দুধপান করাতে ৯ মাসের শিশু উমাইর বিন সাদিকের পক্ষে একটি রিট করা হয়। শিশুর পক্ষে তার মা অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান সর্বস্তরে মাতৃদুগ্ধপান কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন।
২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর জারি করা রুলে সব কর্মক্ষেত্র, এয়ারপোর্ট, বাস স্টেশন, রেলওয়ে স্টেশনে, শপিং মলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চান আদালত।
একইসঙ্গে পাবলিক প্লেস ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে নীতিমালা তৈরি করতে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।