প্রায় চার দশকের বকেয়া মজুরি ও চাকরি সম্পর্কিত পাওনাদি চেয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) -এর বাংলাদেশ অফিসকে চিঠি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এক কর্মচারী।
১৯৮২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আইএলও -এর ঢাকা অফিসে ওয়াচম্যান/মেসেঞ্জার/ক্লিনারের দায়িত্বপালন করা মো. আলম মিঞা সম্প্রতি এ চিঠি পাঠান। চিঠিতে দুই কোটি একচল্লিশ লাখ উনচল্লিশ হাজার সাতশত সত্তর টাকা বকেয়া দাবি করেন তিনি।
এরমধ্যে ১৯৮২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া মজুরী বাবদ ১ কোটি ৪৩ লাখ ৩৯ হাজার ৩১৬ টাকা, সার্ভিস বেনিফিট (ক্ষতিপূরণ ও গ্র্যাচুইটি) বাবদ পাওনাদি ৪৯ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা এবং জরিমানা (বকেয়া মজুরী ও পাওনার ওপর ২৫% হিসেবে) ৪৮ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৪ টাকা দাবি করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সংস্থার বিধি-বিধান এবং প্রযোজ্য আইনের বিধান অগ্রাহ্য ও লঙ্ঘন করে আলম মিঞাকে কমা হারে মজুরী প্রদান ও ভাতাদি পরিশোধ করা হয়। যা বকেয়া মজুরী হিসেবে দাবি করে উপরোক্ত পরিমাণ টাকা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় চার দশকের অবিচ্ছিন্ন, ধারাবাহিক ও নিষ্কণ্টক চাকরির বিপরীতে তাকে কোন সার্ভিস বেনিফিট কিংবা ক্ষতিপূরণ বা গ্র্যাচুয়ইটি প্রদান করা হয়নি। যা বিদ্যমান আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণে নিবেদিত সংস্থা নিজ কর্মচারীর প্রতি যে নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করেছেন তা স্পষ্টত বেমানান ও অগ্রহণযোগ্য বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
সংস্থার বিধি-বিধান ও জাতীয় আইন-বিধির আলোকে পাওনা বকেয়া টাকা চিঠি পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে পরিশোধের অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।