নাটোরে নদী থেকে বালু উত্তোলন, সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
আদালত

স্বর্ণ উদ্ধার: বিমানের দুই কর্মচারীসহ চারজনের ১২ বছরের কারাদণ্ড

হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোয়া ৯ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় বিমানের দুই কর্মচারীসহ চারজনের ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিলকিছ আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমান ফ্লাইট ক্যাটরিং সেন্টার (বিএফসিসি) এর পেন্ট্রিম্যান খন্দকার রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলাম এবং স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্য ইফতারুল আলম সরকার ও রিয়াজ ওরফে আমজাদ।

রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা দুই আসামি রুহুল আমিন এবং শাহিনুর ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর দুই আসামি জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণা শেষে চার আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী গোলাম নবী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিমানের টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯ কেজি ২৮০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করে ঢাকা কাস্টমস হাউস। তখন এর বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলাম ডিউটিরত অবস্থায় বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের জেদ্দা-সিলেট হয়ে ঢাকাগামী বিজি২৩৬ এ ক্যাটরিং এর কাজের উদ্দেশ্যে বিমানের ভিতরে প্রবেশ করে। টয়লেটের মধ্যে টিস্যু বক্সে রক্ষিত কালো স্কচটেপ মোড়ানো চারটি রোল থেকে তারা দুইটি করে জামার মধ্যে লুকিয়ে বিমান থেকে বের হয়ে খাবারের ট্রেতে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে কাস্টম কর্তৃপক্ষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্বর্ণ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় রুহুল আমিন ও শাহিনুর ইসলামকে আটক করা হয়। পরে কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রিভে.) এম এস রিমন আল-রাফি বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন।

২০১৯ সালের ৮ জুলাই চার জনকে অভিযুক্ত চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।