সভাপতি আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যু-পরবর্তী সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের যাবতীয় কার্যক্রম বেআইনি অকার্যকর মর্মে ঘোষণা করতে মামলা করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য ব্যারিস্টার এম. আশরাফুল ইসলাম মামলাটি করেন।
আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ৫ম যুগ্ম জেলা জজ জি এম নাজমুল সাদাতের আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বিবাদীদের জবাব দাখিল করতে সমন জারি করেন।
মামলার বিবাদীরা হলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন ও মোহাম্মদ শফিক উল্লাহ, ট্রেজারার ডা. জাফর ইকবাল, সহ-সম্পাদক সাফায়াতা সুলতানা রুমী ও মাহমুদ হাসান, সদস্য মাহফুজার রহমান রুমান, এবিএম. শিবলী সাদেকীন, এস এম ইফতাখের উদ্দীন মাহমুদ, পারভীন কাওছার মুন্সী, মিটু কুমার মন্ডল, রেদওয়ান আহম্মেদ রনজিব ও মুনতাছির উদ্দিন আহমেদ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ
সুপ্রিম কোর্ট বারের ২০২০-২১ বর্ষের নির্বাচনে নির্বাচিত সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু গত বছরের ১৪ এপ্রিল মারা যান। এতে সভাপতির পদ শূন্য হয়। তার মৃত্যুর পর সুপ্রিম কোর্ট বারের কার্যনির্বাহী কমিটি বারের গঠনতন্ত্র মোতাবেক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কিংবা অদ্যাবধি গঠনতন্ত্র মোতাবেক কোনো সভাপতি নির্বাচন করেনি। সভাপতির পদ শূন্য রেখে সম্পাদক ও ট্রেজারারসহ কমিটির অন্য সদস্যরা বেআইনিভাবে বারের অর্থ ব্যয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। কার্যনির্বাহী কমিটি অবৈধভাবে কাজ পরিচালনা করে প্রায় ১২ কোটি টাকা ও বারের তহবিল থেকে আরও ১৩ কোটি টাকা বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, সভাপতির মৃত্যুর পর গত বছরের ৪ মে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা মুলতবি হওয়ার পর থেকে বারের তহবিল থেকে মোট ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিপ্রায়ে বাজেট সভার নামমাত্র আয়োজন করা হয়। সভায় কোনো খসড়া বাজেট কোনো সদস্যের হাতে দিতে না পেরে, কোনো বাজেট পাস করতে না পেরে অন্যায়ভাবে বারের অর্থ বেআইনি ও প্রতারণামূলকভাবে ব্যয় করায় কার্যনির্বাহী কমিটির গত ১ ফেব্রুয়ারির সভাসহ পরবর্তী যাবতীয় কার্যক্রম অকার্যকর, বেআইনি চক্রান্ত।
বারের সভাপতির অনুমতি ছাড়া যে কোনো ধরনের সভা আহ্বান করা অবৈধ ও অসাংবিধানিক। গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভা বেআইনি এবং বারের সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়।