অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারীর স্মরণসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বিচারপতি কাজী রেজাউল হক
অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারীর স্মরণসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বিচারপতি কাজী রেজাউল হক

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর: বিচারপতি রেজা-উল হক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী মানুষ গড়ার কারিগর ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক।

সুপ্রিম কোর্টে অধ্যাপক এবিএম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারীর ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ১নং হলরুমে এই স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সুপ্রিম কোর্ট ল’ইয়ার্স সোসাইটি স্মরণসভার আয়োজন করে।

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারীর স্মৃতিচারণ করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক বলেন, অধ্যাপক ড. এবিএম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী শুধু আমার শিক্ষক ছিলেন না। তিনি আমার বড়ভাই এবং বন্ধুর মত ছিলেন। আমি জীবনের অনেকগুলো দিন তার সঙ্গে কাটিয়েছি। তিনি আমার সঙ্গে অনেক কথা শেয়ার করতেন।

অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী মানুষ গড়ার কারিগর উল্লেখ করে বিচারপতি রেজা-উল হক বলেন, মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে তিনি মানুষ গড়ার কারখানা স্বরুপ একটি বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি) রেখে গেছেন। একই সঙ্গে অসংখ্য কৃতী ছাত্র-ছাত্রীও রেখে গেছেন।

স্বরণসভায় অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারীর কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবনের নানা বিষয়ে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন তার সুযোগ্য সন্তান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি। এ সময় তিনি সবার কাছে মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারীর জন্য দোয়া চান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, কোষাধ্যক্ষ ইকবাল করিম, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির, সাবেক সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, আইনজীবী শাহ্‌ মঞ্জুরুল হক, ইমাম হোসেন, নূরুন নবী বুলবুল, আব্দুন নূর দুলাল প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এবিএম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী ১৯৫৩ সালের ৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবাধিকার বিজ্ঞানী, আইন ও মানবাধিকার সংক্রান্ত বহু গ্রন্থের প্রণেতা হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেন। ২০০৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন তিনি।