কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসা দিয়ে অপারেশন থিয়েটারে রোগী রেখে ডাক্তারের পলায়ন, আদালতে মামলা
আদালত (প্রতীকী ছবি)

দুদকের মামলায় গণপূর্তের সাবেক মালির স্ত্রীর ৬ বছরের কারাদণ্ড

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় এক নারীকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামির নাম পারভীন আক্তার। তিনি গণপূর্ত অধিদফতরের সাবেক মালি সেলিম মোল্যার স্ত্রী।

আসামি পারভীন আক্তারের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় দেন এবং রায় ঘোষণা শেষে তাকে সাজার পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, পারভীন আক্তারকে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছর এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরও তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অবৈধ উপায়ে অর্জিত এক কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩১ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক। সেক্ষেত্রে তাকে তিন বছর কারাভোগ করতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর একটি পত্রিকায় ‘মালি থেকে কোটিপতি সেলিম মোল্যা’ শিরোনামে অবৈধ সম্পদ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেই অভিযোগের অনুসন্ধানে দুদক ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর সেলিম মোল্যার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়।

পারভীন ওই বছরের ৩১ অক্টোবর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দাখিল করা বিবরণীতে তার নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেন ৮ লাখ টাকা। তার নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য এক কোটি ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা দেখানো হয়।

তবে দুদক অনুসন্ধানে পাওয়া রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় পারভীন আক্তারের নামে অর্জিত সম্পদের বিপরীতে গ্রহণযোগ্য জ্ঞাত আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৩০ লাখ ২১ হাজার ৫৬৯ টাকা। আর তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ এক কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩১ টাকা।

এ ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদুর রহমান ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ রমনা থানায় মামলা করেন। সেলিম মোল্যার বিরুদ্ধেও রমনা থানায় পৃথক মামলা করে দুদক। পারভীন আক্তারের মামলাটি তদন্ত করে পরের বছর ২৩ অক্টোবর উপ-পরিচালক কে এম মিছবাহ উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।