বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর প্রতিবাদ করায় চট্টগ্রাম আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম নগরীর গোলপাহাড় মোড়ে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় ঘটেছে এমন ঘটনা। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটির চালক রানা মূর্তজা নামের একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার পর স্ত্রীসহ হাঁটতে বেরিয়েছিলেন বিচারক অলি উল্লাহ। নগরীর গোলপাহাড় মোড় দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো গ ১৫-৮৯৬৬) এসে তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এমন ঘটনায় হতচকিত হয়ে বিচারক গিয়ে ওই গাড়ির চালককে এভাবে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণ জিজ্ঞাসা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ম্যাজিস্ট্রেট কারণ জানতে চাইতেই ওই গাড়ির চালক এসে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এর একপর্যায়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহকে ঘুষিসহ মারধর করা হয়। এ সময় সঙ্গে থাকা তার স্ত্রীকেও লাঞ্ছিত করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এডভোকেট এএইচএম জাহিদ হাসান গণমাধ্যমকে জানান, ‘প্রচণ্ড মারমুখী ছিল ওই গাড়ির যাত্রীদের আচরণ। লাঞ্ছিত হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে ম্যাজিস্ট্রেটকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এডভোকেট জাহিদ বলেন, ‘বসন্তবরণ উপলক্ষে চট্টগ্রামেও উৎসবমুখর পরিবেশ। সবাই বাইরে হাঁটতে বের হয়েছে। আমি আসলে অসুস্থ, আম্মুও অসুস্থ। ওনাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসলাম। সেই সময় দেখি একজনকে মারছে। ওনার সাথে থাকা এক মহিলাকেও অপমান করছে। ঘটনা জানতে কাছে গিয়ে জানতে পারি ওনার নাম অলি উল্লাহ। তিনি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। স্ত্রীকে নিয়ে হাঁটতে বের হয়েছিলেন তিনি। ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওনাকে একজন ঘুষি মারে এবং ওনার স্ত্রীকে অপমানজনক কথাবার্তা বলতে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘আমি পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে পাঁচলাইশ থানায় কল দিই। থানা থেকে পুলিশ আসে। তাদের মধ্যে মূর্তজা নামের একজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জেনেছি।’
এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, ‘গোলপাহাড় মোড়ে মারামারির ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে এখন। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।’