ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিচারক প্রত্যাহারের দাবিতে আদালত বর্জন করল আইনজীবীরা
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বড় বোনের পরিবর্তে সাক্ষ্য দিতে এসে কারাগারে নারী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় বড় বোনের পরিবর্তে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন ছোট বোন। সন্দেহ হওয়ায় আপত্তি তোলেন বিবাদী পক্ষের আইনজীবী। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ওই নারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে।

ওই নারীর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত (৩২)। তিনি জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডা মার্কাজপাড়ার মৃত নূর এ মুসলিমের মেয়ে।

জানা গেছে, অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিল। বাদী পক্ষে সাক্ষী দেওয়ার কথা ছিল আলেয়া বেগম আলো নামে এক নারীর।

আদালতের এজলাসে সাক্ষী দিতে আসা এক নারী নিজেকে আলেয়া বেগম আলো বলে পরিচয় দেন। কিন্তু বিবাদী পক্ষের আইনজীবী উজ্জ্বল মিয়া তাকে দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন।

বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর আপত্তির প্রেক্ষিতে বিচারক ওই নারীকে পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। এ সময় ওই নারী আলেয়া বেগম আলো নাম লেখা অস্পষ্ট ছবির চেহারার একটি আইডি কার্ড আদালতে দেখান। এতে আদালত আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করতে বলেন।

এর দীর্ঘক্ষণ পর তিনি তার আসল পরিচয় জানান। শনাক্ত হয়, সেই নারী আলেয়া বেগম আলো নন, তিনি আলোর আপন ছোট বোন জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত।

পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। ভুয়া সাক্ষ্য দেওয়ার ঘটনায় আদালত ওই নারীকে মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন।