অ্যাডভোকেট রায়হান কাওসার
অ্যাডভোকেট রায়হান কাওসার

বিনা বিচারে কারাভোগ, রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা ও ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে

রায়হান কাওসার: একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হলেই তিনি অপরাধী হয়ে যান না। সাক্ষ্য-প্রমাণে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হলেই কেবল তাঁকে অপরাধী বলা যাবে এবং সাজা প্রদান করা যাবে। আর আমাদের সমাজে হয়রানীমূলক মামলা যে একেবারে হয়না তা নয়। কঠিন ধারায় মামলা হলে তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আদালত আসামীকে জামিনে মুক্তি দিতে আগ্রহী হন না। তদন্ত রিপোর্ট আসামীর পক্ষে আসলে তবেই আসামী জামিন পান। আবার, অনেক সময় বাদীপক্ষ পুলিশ রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজী পিটিশন দায়ের করে বসেন। ফলে আবারও তদন্ত শুরু হয় নতুন সংস্থার অধীনে। মামলার তদন্ত শেষ হতেই লেগে যায় অনেক দিন। অনেক সময় বছরেও শেষ হয়না তদন্ত, সময় লাগে তারও বেশি। মামলার তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে আদালত অপরাধ আমলে নিয়ে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। শুরু হয় বিচার। সাক্ষী-সাফাই সাক্ষী, আরগুমেন্ট ইত্যাদি।

বিচার শেষে দেখা যায়, আসামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে আদালত রায় দেন। আসামী খালাস পান। কিন্তু মাঝখান দিয়ে আসামী যে দীর্ঘদিন কারাগারে বন্দী থাকলেন- তার কোন সুরাহা হয় না। বিনা অপরাধে একজন ব্যক্তির জীবন থেকে যে সোনালি সময়গুলো নষ্ট হয়ে গেল সেটি কে ফিরিয়ে দিবে তাহলে? একজন অভিযুক্তকে নিজের স্বাধীনতাকে বিসর্জন দিয়ে, মানবিক ও মৌলিক অধিকারগুলো খুইয়ে জেলখানার চার দেওয়ালের মাঝে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে অতিবাহিত করতে হয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলি।

ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ১৬৭ উপধারা ৫ অনুযায়ী, একটি মামলার তদন্ত, অপরাধ সংঘটনের সংবাদ পাওয়ার তারিখ থেকে অথবা তদন্তের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ দেওয়ার পর থেকে ১২০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন না হলে-

(ক) তদন্তাধীন অপরাধটি যদি মৃত্যুদন্ড, যাবজ্জীবন কারাদন্ড অথবা দশ বছরের ঊর্ধ্ব মেয়াদের কারাদন্ডে দন্ডনীয় না হয়, তাহলে অপরাধটি যে ম্যাজিস্ট্রেট আমলে নিতে পারেন, তিনি স্বীয় সন্তুষ্টি মোতাবেক শর্তে আসামীকে জামিনে মুক্তি দিতে পারেন; এবং 

(খ) তদন্তাধীন অপরাধটি যদি মৃত্যুদন্ডে, যাবজ্জীবন কারাদন্ডে অথবা দশ বছরের ঊর্ধ্ব মেয়াদের কারাদন্ডে দন্ডনীয় হয়, তাহলে দায়রা আদালত স্বীয় সন্তুষ্টি মোতাবেক শর্তে আসামীকে জামিনে মুক্তি দিতে পারেন।

উক্ত ধারায় আরও বলা হয়েছে, যদি আসামীকে এই উপধারার শর্তমতে জামিনে মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে, ম্যাজিস্ট্রেট অথবা ক্ষেত্রমত দায়রা জজ অনুরূপ সিদ্ধান্তের কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।

এছাড়াও, অন্যান্য স্পেশাল ল’ (বিশেষ আইন) তেও তদন্ত সমাপ্তির জন্য সময় নির্দিষ্ট করে নির্দেশনা দেওয়া আছে। যেমন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আসামী হাতে নাতে ধৃত হলে যথাক্রমে ১৫ ও ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমাদানের কথা বলা আছে। আর হাতে-নাতে ধৃত না হলে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত সমাপ্তির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আইনের নির্দেশনা মোতাবেক কী আদৌ সকল মামলার তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়? আর তদন্ত শেষ না করতে পারলে কী অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়? না, সেটি সব সময় হয়না।

পরবর্তীতে যদি এই মর্মে রায় ঘোষিত হয় যে, আসামী নিরপরাধ তাহলে আইনের নির্দেশনা ব্যতিরেকে একজন অভিযুক্তের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলি যে চার দেওয়ালের মাঝখানে বন্দী রেখে নষ্ট করা হলো- তার কী হবে? রাষ্ট্রের এহেন কাজের জন্য একজন অভিযুক্ত কী যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাবার অধিকার রাখেন না? ধরা যাক, ফৌজদারী কার্যবিধিতে, একটি মামলার তদন্ত ১২০ দিনের মধ্যে শেষ করতে না পারলে আসামীকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা আছে। দেখা যাচ্ছে, মামলার তদন্ত ১২০ দিন বা ৪ মাসের মধ্যে শেষ হলো না। তদন্ত রিপোর্ট না আসায় আসামীকে জামিনে মুক্তিও দেওয়া হলো না। মুক্তি দেওয়া হলো ১১ মাসের মাথায়। তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হলো আরও পরে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, আইনে প্রদত্ত নির্দেশনার চেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি অতিরিক্ত বন্দী থাকল ৭ মাস এবং পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অসত্য বলে প্রমাণিত হলো কিংবা বাদী বা রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হলো। তাহলে, অভিযোগ যদি অসত্যই হয়ে থাকে কিংবা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বাদী বা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ-ই হয়- তাহলে কেন এই নিরপরাধ ব্যক্তির জীবন থেকে অতিরিক্ত ৭ মাস কেড়ে নেওয়ার জন্য রাষ্ট্র দায়ী থাকবে না?  হয় আইনের নির্দেশিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে আসামীকে জামিনে মুক্তি দিতে হবে, নইলে নির্দেশিত সময়ের অতিরিক্ত সময় বন্দী রাখলে তাঁকে সেই বন্দীত্বের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে- সেটি যে পরিমাণই হোক না কেন। 

বিচারের জন্য অপেক্ষমাণ একজন বন্দীকে একজন নিরপরাধ ব্যক্তি হিসেবে ধরে নিতে হবে। কেননা, তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি। অনেক বন্দী দীর্ঘদিন কারাগারে বন্দী থাকেন, অথচ, সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে দেখা যায়, তিনি নিরপরাধ। দিন শেষে, একজন নিরপরাধ মানুষের জীবন থেকে নষ্ট হয়ে যায় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো। পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয় দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। অথচ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে কোর্ট রায় দেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি নিরপরাধ। কিন্তু এই নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে যারা হয়রানীমূলক মামলা করেন, তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। মাঝখান দিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিটি পৃথিবীর সুখ-আহ্লাদ বিসর্জন দিয়ে, মানবিক ও মৌলিক অধিকারগুলি খুইয়ে জেলের চার দেওয়ালের মাঝে অবহেলায় অতিবাহিত করেন জীবনের সোনালি সময়গুলো।

বছর খানেক আগে আমার এলাকার জনৈক হাফিজ সাহেব মিথ্যা অস্ত্র মামলায় ৩৮ মাস কারা অন্তরীণ ছিলেন। রাজৈনৈতিক প্রতিপক্ষ তাঁকে স্কুলের হেডমাস্টারের অফিসে ডাকে। সেখানে তিনি গিয়ে দেখেন একটি পুরনো অস্ত্র টেবিলে রাখা এবং কিছু লোক বসা। পাশে একজন পুলিশ সদস্য। তিনি উপস্থিত লোকদের জিজ্ঞেস করেন কী ব্যাপার, তাকে কেন ডাকা হয়েছে; আরও জিজ্ঞেস করেন, টেবিলে রাখা অস্ত্রটি কার। উত্তরে প্রতিপক্ষগণ জানান, এই অস্ত্রটি তো জনাব হাফিজেরই। উপস্থিত সকলেই সাক্ষী যে এটি হাফিজের নিকট থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে। জনাব হাফিজকে থানায় নেওয়া হলো। থানা থেকে দ্রুত চালান করা হলো কোর্টে। হাফিজ সাহেব সব কিছু ভালভাবে বুঝে উঠার আগেই আটকে গেলেন আইনের বেড়াজালে। দীর্ঘ সময় মামলা চলল।  মামলা থেকে খালাস পেলেন ঠিকই কিন্তু জীবন থেকে হারিয়ে গেল ৩৮ টা মাস। জনৈক হাফিজের বৃদ্ধ বাবা যতবার আমার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন, ততবারই তিনি অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়তেন সন্তানের জন্য। তখন অনুধাবন করতে পেরেছিলাম, বন্দীত্ব কতটা কষ্টের এবং আসামীর পরিবারের জন্য কতটা বেদনাদায়ক- যেখানে একজন বন্দীকে দু’মুঠো খাবারের জন্য, একটু আরামে ঘুমানোর জন্য সংগ্রাম করতে হয়; পরিবার থেকে কারাগারে টাকা পাঠাতে হয়।

জাতিসংঘের  Universal Declaration of Human Rights (UDHR)-এর আর্টিকেল ১১(১) অনুযায়ী বলা যায়, যতক্ষণ পর্যন্ত না একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হবে, আইনের দৃষ্টিতে তিনি নিরপরাধ। তিনি যদি নিরপরাধই হয়ে থাকেন এবং পুলিশ একজন অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করতে না-ই পারেন, তাহলে একজন অভিযুক্তকে তার মৌলিক মানবাধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? আমাদের উচিত একজন বিচারাধীন কারাবন্দীর জামিনে মুক্তি পাওয়ার অধিকারকে অত্যন্ত পবিত্রতার সাথে বিবেচনা করা।

Institute for Crime and Justice Policy Research নামক একটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য মতে, বাংলাদেশের মোট বন্দীর ৮১.১% বন্দীই বিচারপূর্ববর্তী বন্দী (Pre-trial detainee)[1] যেখানে শীর্ষ থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয় এবং এশিয়ায় প্রথম। যেখানে ৯০.০% নিয়ে  সর্ব প্রথম অবস্থানে রয়েছে লিবিয়া। আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারতে বিচার পূর্ববর্তী বন্দীর হার ৭৬.১%, পাকিস্তানে ৬২.১%,  যুক্তরাজ্যে ৩৫.৯%, যুক্তরাষ্ট্রে ২৩.৩%, রাশিয়ায় ২৩.৩%। তুলনামূলকভাবে বিবেচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, বাংলাদেশে বিচারপূর্ববর্তী বন্দীর হার অনেক বেশি।

আন্তর্জাতিক আইনে একজন ব্যক্তির চলাফেরা ও ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ কর্তৃক স্বাক্ষরিত International Covenant on Civil and Political Rights (ICCPR)- এর আর্টিকেল ৯(৫)-এ  অবৈধভাবে বন্দীত্বের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এভাবে- “Anyone who has been the victim of unlawful arrest or detention shall have an enforceable right to compensation”. জাতিসংঘের  Universal Declaration of Human Rights (UDHR)-এর আর্টিকেল ৯- এ বলা হয়েছে, “No one shall be subjected to arbitrary arrest, detention or exile”.

এছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশেই বেআইনিভাবে বন্দীত্বের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রচলন রয়েছে যেমন-  নরওয়ে, সুইডেন, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানী, নেদারল্যান্ডস, ইতালী। বাংলাদেশ সংবিধানের আর্টিকেল ৩২ মতে, আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা হতে কোন ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না। কিন্তু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশে বিচার পূর্ববর্তী বন্দীর হার আশংকাজনকভাবে বেশি, যেখানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় এবং এশিয়ায় প্রথম। সুতরাং, এটা ভাবার অবকাশ রয়েছে যে, বিচারের ছলে আমরা একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার হরণ করছি না তো?

একটি ক্রিমিনাল মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুলিশ তদন্ত শেষ করতে না পারলে একজন অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি জোরালোভাবে বিবেচনা করতে হবে। কেননা, চার্জশীট না আসা পর্যন্ত একজন অপরাধীর বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল প্রসিডিং আরম্ভ হয়না এবং তিনি তখন পর্যন্ত নির্দোষও বটে এবং সাজাপ্রাপ্তও নন। তাহলে, একজন অভিযুক্তকে তাঁর মৌলিক অধিকার এবং তাঁর পরিবারের সান্নিধ্য থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? অথচ অনেক আদালতে শুনানীকালে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৭(৫) উপধারাটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয় না। এর অর্থ হলো এটাই, আমরা একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার এবং তাঁর জীবনের স্বর্ণালি সময়গুলিকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হচ্ছি।

সুতরাং, আইনের নির্দেশিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ না হলে অভিযুক্তকে হয় জামিনে মুক্তি দিতে হবে, না হলে নির্দেশিত সময়ের অতিরিক্ত সময় বন্দী থাকার জন্য তাঁকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে যদি তিনি বিচার শেষে নির্দোষ প্রমাণিত হোন।

যদি রাষ্ট্রপক্ষ আসামিকে উক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানে অসমর্থ হয় কিংবা অনাগ্রহী হন, তাহলে আসামীর জামিন শুনানীর সময় রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করার অধিকার হারাবে- এই মর্মে আইন প্রণয়ন করতে হবে। রাষ্ট্র কিংবা বাদীকে  ক্ষতিপূরণ প্রদানের আওতায় আনলে অনেক মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা কমে যাবে বলে আশা করা যায়। জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে Arbitrariness (স্বেচ্ছাচারিতা) যেন না থাকে সে ব্যাপারেও বিজ্ঞ আইনজীবীদের সজাগ থাকতে হবে এবং সুসাশন নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

[1] https://www.prisonstudies.org/highest-to-lowest/pre-trial-detainees?field_region_taxonomy_tid=All . Accessed on 12.03.2022

লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।