হাইকোর্ট ও খালেদা জিয়া
হাইকোর্ট ও খালেদা জিয়া

দুই মামলায় খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে মন্তব্য এবং ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে পৃথক দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তাঁর জামিন প্রশ্নে রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

শুনানিকালে আদালত বলেন, জামিনের অপব্যবহার হয়েছে কি? জবাবে রাষ্ট্রপক্ষ বলে, রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে, জামিনের অপব্যবহার করা হয়নি।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট ওই দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে রুল দিয়ে তাঁকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। কেন আবেদনকারীকে (খালেদা জিয়া) নিয়মিত জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। এরপর জামিনের কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়।

আজ রুল শুনানির জন্য ওঠে। এরপর আদালত শুনানি শেষে খালেদা জিয়াকে নিয়মিত জামিন দেন। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

আইনজীবী সূত্রের তথ্যমতে, ২০১৪ সালে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা ও ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলা দুটি করেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় ২০১৮ সালে ও মানহানির মামলায় ২০১৯ সালের ২০ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এ দুই মামলায় ২০১৯ সালের ২০ মে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এই জামিন আবেদনের ওপর আজ রায় হলো।