প্রসঙ্গ : আইন পেশার ইতিহাস ও আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা
অ্যাডভোকেট দীপজয় বড়ুয়া

নাবালকের বৈধ অভিভাবকত্ব ও সম্পদ বিক্রয়: আইন কি বলে?

দীপজয় বড়ুয়া: সাধারণত নাবালক কে বা কাকে বলা হয় সেটা সকলেই জানেন। তবুও প্রচলিত আইনে নাবালকের সংজ্ঞায় কি বলা আছে সেটা দিয়েই লেখা শুরু করা প্রয়োজন বলে বোধ করি। সাবালকত্ত্ব আইন (majority act) ১৮৭৫ এর ৩ ধারা অনুসারে, কোন ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হইয়া পর্যন্ত নাবালক। তবে কোন নাবালকের শরীর বা সম্পত্তির অভিবাবক যদি আদালত কর্তৃক নিযুক্ত করা হয় এ ক্ষেত্রে ২১ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত নাবালক বলে গণ্য হবে।

নাবালকের বৈধ অভিভাবক

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০ সালের বিধান অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়স্ক সন্তানকে ‘নাবালেগ’ বলে বিবেচনা করা হয়। তার অভিভাবক হবেন তিনি, যিনি কোনো নাবালেগ বা নাবালকের শরীর অথবা সম্পত্তি অথবা সম্পত্তি ও শরীর উভয়ের তত্ত্বাবধানের এবং তাকে ভরণপোষণ প্রদানে আইনিভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত।

আইন অনুযায়ী, নাবালকের স্বাভাবিক ও আইনগত অভিভাবক হলেন বাবা। তার অনুপস্থিতিতে বা অভিভাবক হিসেবে তার অযোগ্যতায় মা, অথবা আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োজিত ব্যক্তি নাবালকের ‘শরীর ও সম্পত্তির অভিভাবক’ হতে পারেন।

তবে নাবালকের সার্বিক কল্যাণের গুরুত্বের ওপরে নির্ভর করে দেশে প্রচলিত মুসলিম আইন অনুযায়ী, মাকে নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত সন্তানের জিম্মাদারিত্বের অধিকার দেয়া হয়েছে। ছেলেশিশুকে সাত বছর এবং মেয়েশিশুকে তার বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত মা জিম্মায় রাখার অধিকারী। তবে মা বা নাবালক সন্তান যার তত্ত্বাবধানে থাকুক না কেন, সন্তানের খোঁজখবর নেয়া, দেখাশোনা এবং ভরণপোষণের দায়িত্ব কিন্তু অভিভাবক হিসেবে বাবার।

জিম্মাদারিত্বের নির্দিষ্ট বয়স পার হলে সন্তান যে বাবার জিম্মায় যেতে বাধ্য হবে, তা নয়। নির্দিষ্ট বয়সের পরও তার সার্বিক কল্যাণের বিষয়টি বিবেচনা করে সন্তানের জিম্মাদারিত্বের দায় ফের মায়ের কাছে ন্যস্ত হতে পারে।

‘সার্বিক কল্যাণ’ বলতে আইন অনুযায়ী সন্তানের পার্থিব, নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক কল্যাণকে বোঝানো হয়ে থাকে। তা শিশুটির নিরাপত্তার পাশাপাশি সুন্দর ও উত্তমরূপে তাকে প্রতিপালনের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত করে। অর্থাৎ, জিম্মাদারিত্বের নির্দিষ্ট বয়স পার হলেই বাবা শর্তহীনভাবে সন্তানদের চূড়ান্ত জিম্মাদার হতে পারেন না, এ ক্ষেত্রে সন্তানের সার্বিক কল্যাণকে গুরুত্ব দেয়া হয়।

বৈধ অভিভাবকত্ব নিয়ে আইন ও আদালতের রায়

“মায়ের জিম্মায় সন্তান থাকাকালে বাবা যদি কোনো ভরণপোষণ না দেন, সে ক্ষেত্রে মা সন্তানকে বাবার সাথে দেখাসাক্ষাৎ করাতে ‘বাধ্য নন’ বলে মামলার রায়ে অভিমত দেয়া হয়েছে।” [17 DLR 134]

অভিভাবকের অন্যতম দায়িত্ব হলো প্রতিপাল্য অর্থাৎ নাবালক সন্তানের ভরণপোষণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সব ব্যাপারে নৈতিক এবং অর্থনৈতিক সব সুবিধা সন্তানকে দেয়া।

প্রচলিত একটি ধারণা রয়েছে, মা আবার বিয়ে করলে নাবালক সন্তানের জিম্মাদারির অধিকার হারান। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে আদালত সব ঘটনা ও অবস্থা বিবেচনা করে নাবালককে তার মায়ের পুনর্বিবাহের পরও সে মায়ের জিম্মায় রাখার আদেশ দিতে পারেন।

অভিভাবক হিসেবে বাবাও অযোগ্য হতে পারেন

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯ ধারায় অভিভাবক হিসেবে বাবাও অযোগ্য হতে পারেন। তিনি চারিত্রিকভাবে অসৎ হলে, সন্তানের মা অর্থাৎ স্ত্রীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করলে, যদি মাদকাসক্ত এবং অধার্মিক হন, শিশুদের প্রতি অমানবিক আচরণ করেন, প্রকাশ্যে লাম্পট্য করেন, দুস্থ অথবা নিঃস্ব হন অথবা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে এ সংক্রান্ত কোনো চুক্তি থাকে, বাবা ফের বিয়ে করেন এবং নাবালক সন্তানের ভরণপোষণ দিতে অবহেলা করেন।

মা কখন সন্তানের জিম্মাদার হারান

১. নীতিহীন জীবন যাপন করলে,
২. এমন কারো সাথে তার বিয়ে হলে, যিনি শিশুটির নিষিদ্ধ স্তরের মধ্যে ঘটলে তার ওই অধিকার পুনর্জীবিত হয়,
৩. সন্তানের প্রতি অবহেলা করলে এবং দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে,
৪. বিয়ে বজায় থাকা অবস্থায় বাবার বসবাসস্থল থেকে দূরে বসবাস করলে,
৫. যদি তিনি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম গ্রহণ করেন,
৬. যদি সন্তানের বাবাকে তার জিম্মায় থাকা অবস্থায় সন্তানকে দেখতে না দেন।

নাবালকের সম্পত্তির অভিভাবক হওয়ার অধিকারী কারা

পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ অনুসারে নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা নাবালকের সম্পত্তির অভিভাবক হওয়ার অধিকারী।

অগ্রগণ্যতার ক্রম অনুযায়ী বাবা, বাবা কর্তৃক নিয়োগকৃত ব্যক্তি; বাবার বাবা অর্থাৎ দাদা, দাদা কর্তৃক নিয়োগকৃত ব্যক্তি। যদি এসব ব্যক্তি না থাকেন, তাহলে আদালত কর্তৃক নিয়োগকৃত আইনগত অভিভাবকই নাবালকের সম্পত্তির অভিভাবক।

এ ক্ষেত্রে, মা কেবল একজন তত্ত্বাবধায়ক এবং তিনি নাবালক সন্তানের কোনো সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন না, যদি না আদালত কর্তৃক সম্পত্তির অভিভাবক নিযুক্ত হন। এই মা বা নারী তার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সন্তানের অভিভাবক হতে পারেন না আইনগত বিভিন্ন বাধার কারণে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সন্তানের অভিভাবকত্ব

হিন্দু আইনেও নাবালকের প্রকৃত ও স্বাভাবিক অভিভাবক বাবা। বাবা জীবিত অবস্থায় উইল করে অন্য কাউকে নাবালক সন্তানের অভিভাবক নিযুক্ত করে গেলে মা অপেক্ষা সে ব্যক্তির দাবি অগ্রগণ্য হবে। শুধু মা অবৈধ সন্তানের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অভিভাবক। কিন্তু তার বাবার সন্ধান বা পরিচয় জানা গেলে, বৈধ অভিভাবক হিসেবে বাবার অগ্রাধিকার স্বীকৃত হবে। মা যদি পরে বিয়ে করেন, কেবল এ কারণে তার নাবালক সন্তানের অভিভাবক হওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন না এবং ধর্মান্তরজনিত কারণেও মা অবৈধ সন্তানের অভিভাবক হওয়ার দাবি হারান না।

বৈধ সন্তানের ক্ষেত্রে কোনো হিন্দু বাবা ধর্ম পরিবর্তন করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করলে তার জন্য নাবালক সন্তানের ওপর তার অভিভাবকত্বের অধিকার হারান না। কারণ বাবার ধর্ম অনুযায়ী সন্তানের ধর্ম নির্ধারিত হয়। কিন্তু মায়ের ক্ষেত্রে এ শর্ত প্রযোজ্য নয়। মা ধর্ম পরিবর্তন করলে আদালত মায়ের হেফাজত থেকে নাবালক সন্তানকে অন্য কোনো হিন্দু ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করতে পারেন।

যদি কোনো নাবালকের মা-বাবা না থাকে এবং আদালত কর্তৃক নিযুক্ত কোনো অভিভাবকও না থাকে, তখন সাধারণত নাবালকের পুরুষ আত্মীয় তার বিষয়াদি দেখাশোনা করে থাকেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: বাংলাদেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রেও হিন্দু আইন প্রযোজ্য।

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে সন্তানের অভিভাবকত্ব

খ্রিষ্টানদের ক্ষেত্রেও বাবা স্বাভাবিক অভিভাবক। কিন্তু কোনো বিয়ে ভেঙে গেলে সহজ একটি প্রশ্ন ওঠে, নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব কে পাবেন? ডিভোর্স অ্যাক্ট ১৮৬৯-তে এ ব্যাপারে কিছু দিকনির্দেশনা রয়েছে। তা ছাড়া বাংলাদেশে প্রচলিত অভিভাবকত্ব-সংক্রান্ত আইন ‘অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০’ খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য প্রযোজ্য। যেকোনো বিয়েবিচ্ছেদ বা জুডিশিয়াল সেপারেশনের সময় আদালত নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ণয় করে দেন। এ ব্যাপারে আদালতের নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে।

তবে সন্তানের কল্যাণ বা মঙ্গল প্রধান বিবেচ্য বিষয় হলে মাকে অভিভাবকত্বের অধিকার দেয়া হলেও তিনি হন আদালত কর্তৃক নিযুক্ত অভিভাবক। যদি মায়ের ধর্মবিশ্বাস ভিন্ন হয়ে যায়, সন্তানকে অবশ্যই তার বাবার ধর্মবিশ্বাসের আলোকে প্রতিপালন করতে হবে। যদি মা এর প্রতিপালনে ব্যর্থ হন, তাহলে সন্তানের অভিভাবকত্ব হারাতে পারেন। আদালত বাবার পিতা অর্থাৎ দাদাকেও অভিভাবকের দায়িত্ব দিতে পারেন, যদি মায়ের অর্থনৈতিক অবস্থা সচ্ছল না থাকে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান। কিন্তু সন্তানের অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে চলছে নানাবিধ বৈষম্য।

নাবালকের সম্পত্তি বিক্রয়

নাবালকের বৈধ অভিভাবক হচ্ছে পিতা। পিতার মৃৃত্যুর পর মাতা বৈধ অভিভাবক হিসেবে সম্পত্তি বিক্রয় করতে পারে না। কারণ নাবালকের সম্পত্তি অভিভাবক পিতা কর্তৃক বিক্রয় বৈধ। অভিভাবিকা মাতার বিক্রয় বৈধ নয়। [Ref: 22 DLR 115 (WP), 20 DLR 689]। আবার নাবালকের অভিভাবক হিসেবে মাতা দলিল রেজিস্ট্রি করলে উক্ত দলিল বাতিল (Void) হবে। [Ref: Section 361/364] Mohamedan Law]. কিন্তু আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে পারে।

জাতিসংঘের বৈষম্য বিলোপ সনদ

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও), Convention on the Elimination of all forms of Discrimination Against Women (CEDAW) গৃহীত হয় ১৮/১২/১৯৭৯ সালে। উক্ত সনদে স্বাক্ষর শুরু হয় ১/৩/১৯৮০ ইংরেজি তারিখ হতে। কার্যকর হয় ৩/৯/১৯৮১ ইংরেজি তারিখ হতে। বাংলাদেশে সিডও সনদ সাক্ষর ও অনুমোদন করেন ১৯৮৪ সালে।

সিডও সনদের ১৬(১)ঘ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, বৈবাহিক অবস্থা নির্বিশেষে, তাদের সন্তান-সন্ততির বিষয়ে, পিতা-মাতা হিসাবে একই অধিকার ও দায়িত্ব; সকল ক্ষেত্রে শিশুদের স্বার্থই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

১৯৯৮ সালের ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবসে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবার নামের সাথে মায়ের নাম লেখার ঘোষণা দেন এবং ২০০০ সালের ২৭ আগস্ট কার্যকর হয়। আর সার্টিফিকেটে পিতার নামের সাথে মায়ের নাম লেখা চালু হয়-২০০৪ সালে।

মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির অভিভাবক

মানসিক স্বাস্থ্য আইন, ২০১৮ এর ২১ (১) ধারা মতে আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর ও সম্পত্তির অভিভাবক হইবে তাহার পিতা বা মাতা।

অত্র আইনের ২২(৩) ধারায় বলা হয়েছে যে, দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তি তাহার সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে অক্ষম, এবং তাহার পিতা বা মাতা জীবিত নাই, তাহা হইলে আদালত একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে ব্যবস্থাপক নিযুক্ত করিবে।

মন্তব্য

একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইনগ্রন্থ হলো দেশটির সংবিধান। আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৮(২)-এ বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার লাভ করবে।’

অথচ দেশে প্রচলিত আইনে শুরু থেকেই নারীর প্রতি বৈরী আচরণ বিদ্যমান। সন্তান জন্মদান থেকে লালনপালনে নারীর গুরুত্ব যে অপরিসীম, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবু নারীর সন্তান ধারণ ও লালনের সব গুরুত্বকে ছাপিয়ে পিতৃত্বের অধিকারবোধ প্রবল হয়ে ওঠে।

ফলস্বরূপ অনেক সময়ে মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয় সন্তানের জিম্মাদারিত্ব। সামাজিকভাবে সাধারণত ধরে নেয়া হয়, বাবাই সন্তানের চূড়ান্ত অধিকারী। সন্তান নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে মায়ের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে বাবার দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা আজও অনেকটা বিদ্যমান।

তবে উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, নাবালক সন্তানের মঙ্গলের জন্য পিতা বৈধ অভিভাবক হিসেবে নাবালকের সম্পত্তি বিক্রয় করার ব্যবস্থা অনেক আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল। কিন্তু সিডও সনদের বাস্তবায়নের মাধ্যমে এবং মানসিক স্বাস্থ্য আইন, ২০১৮ এর ২১(১)/২২(৩) ধারা বিবেচনা করলে বর্তমানে মাতাও পিতার অবর্তমানে নাবালক সন্তানের মঙ্গলের জন্য সম্পত্তি বিক্রয় করতে পারবেন।

লেখক: আইনজীবী, জজ কোর্ট, চট্টগ্রাম।