প্রদীপ–চুমকি দম্পতির দুর্নীতির মামলার রায় ২৭ জুলাই
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণ

প্রদীপ–চুমকি দম্পতির দুর্নীতির মামলার রায় ২৭ জুলাই

কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় আগামী ২৭ জুলাই রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

আজ সোমবার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসি আবদুল মজিদ এই তারিখ ধার্য করেন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, আদালতে এদিন আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। আসামি প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রী চুমকিকে নির্দোষ দাবি করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তাঁদের আইনজীবী। পরে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন।

যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আজ প্রদীপ ও চুমকিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাঁদের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

দুদকের পক্ষ থেকে গত ২০ জুন আসামিদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য আদালতে উপস্থাপন করা হয়। শুনানিতে আসামি প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রী চুমকির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে দুদক।

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পত্তি অর্জনের মামলা করেন।

গত বছরের ২৬ জুলাই প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এই হত্যা মামলায় প্রদীপসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। গত ৩১ জানুয়ারি এই রায় দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।