অধিকারের নিবন্ধন নবায়ন নিয়ে রিট খারিজ
মানবাধিকার সংগঠন অধিকার (লোগো)

অধিকারের নিবন্ধন নবায়ন নিয়ে রিট খারিজ

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন অধিকারের নিবন্ধন নবায়ন নিয়ে তিন বছর আগে করা রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার (২৭ জুলাই) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

নিবন্ধন নবায়নের আবেদন না মঞ্জুরের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে জানিয়ে অধিকারের আইনজীবী আদালতে রিটটি না চালানোর কথা বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রিটটি খারিজ করে দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া ও মো. আহসানুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

পরে আইনজীবী মো. আহসানুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, অধিকারের নিবন্ধন নবায়নের আবেদন না মঞ্জুর করে গত ৫ জুন এনজিও বিষয়ক ব্যুরো যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর ৩ আগস্ট শুনানির দিন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিনিয়র সচিবের কক্ষে সেদিন আপিলের ওপর শুনানি গ্রহণ করা হবে।

এর আগে নিবন্ধন নবায়নের জন্য ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক বরাবর অধিকারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। ফল না পেয়ে নিবন্ধন নবায়নে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৩ মে হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে নিবন্ধন নবায়নের জন্য ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর করা আবেদন মঞ্জুরে নিষ্ক্রিয়তাকে কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং আইন অনুসারে নিবন্ধন নবায়নের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রুল শুনানির জন্য গত ২৬ মে রিটটি কার্যতালিকায় ওঠে।

অন্যদিকে অধিকার-এর নিবন্ধন নবায়নের আবেদন গত ৫ জুন না মঞ্জুর করে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে করা সম্পূরক আবেদন গত ১৪ জুন আদালতে তুলে ধরে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় আজ রিটটি রায়ের জন্য কার্যতালিকায় ওঠে।

আদালতে আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, নন প্রসিকিউশন (রিটটি না চালানো) চাচ্ছি। কারণ অধিকারের নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর করে ব্যুরোর ৫ জুনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করা হয়েছে। ৫ জুনের সিদ্ধান্ত নিয়ে করা সম্পূরক আবেদনটি উপস্থাপন করছি না।

এরপর না চালানোর দিক বিবেচনায় রিটটি খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে দেন আদালত। সেই সঙ্গে উপস্থাপন না করার দিক বিবেচনায় সম্পূরক আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দেন।