আয়ুর্বেদিক ওষুধের নামে মাদকমিশ্রিত পানীয় বিক্রি, গ্রেফতার ৬

আয়ুর্বেদিক ওষুধের নামে মাদকমিশ্রিত পানীয় বিক্রি, গ্রেফতার ৬

আয়ুর্বেদিক ওষুধের নামে মাদকমিশ্রিত পানীয় উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীর নারিন্দা, নাজিরা বাজার, কামরাঙ্গীরচর, গুলিস্তান, কাঁটাবনসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ওয়াজেদ ইসলাম (২০), মো. রাসেল (২৯), মো. হৃদয় (২৯), মো. মুরসালিন আহম্মেদ (১৮), মো. সবুজ মিয়া (১৮) ও মো. নান্টু (৫২)।

র‍্যাব বলছে, চক্রের মূল হোতা ওয়াজেদ। বাকি পাঁচজন তাঁর সহযোগী।

র‍্যাবের ভাষ্য, অভিযানে ৩ হাজার ৫০০ বোতল বিভিন্ন ধরনের মাদকমিশ্রিত পানীয় উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়া ইয়াবা বড়ির গুঁড়া, গাঁজাসদৃশ বস্তুসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

র‍্যাব বলছে, ফার্মেসির নামে লাইসেন্স নিয়ে চক্রটি আয়ুর্বেদিক ওষুধের নামে মাদকমিশ্রিত পানীয় উৎপাদন ও বিক্রি করছিল। চক্রটির ‘কারখানা’ নারিন্দায়। অন্যত্র আউটলেট।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, কামরাঙ্গীরচরে একটি দোকানে আয়ুর্বেদিক ওষুধের নামে মাদকমিশ্রিত পানীয় বিক্রি করা হয়। তাঁদের সন্তানেরা এই পানীয়র প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। এই পানীয় পানের পর তারা মাদকাসক্তের মতো আচরণ করছে।

খন্দকার আল মঈন বলেন, অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে র‍্যাবের গোয়েন্দা দল গোপনে কামরাঙ্গীরচরে দোকান থেকে কথিত আয়ুর্বেদিক ওষুধ সংগ্রহ করে। সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় পানীয়তে মাদকের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

র‍্যাব বলছে, এই পানীয় পানে তীব্র ঘুম হয়। যৌন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই পানীয় সেবনে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নানা রকম শারীরিক জটিলতা হতে পারে।