খুলনা বিভাগের বিচার ব্যবস্থাকে গতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুরাতন মামলার কাজ ৩ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে, কোন মামলা ফেলে রাখা যাবে না। এর ফলে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে।
সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে জেলা জজশীপ ও ম্যাজিস্ট্রেসী মনিটরিং উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন হচ্ছে সংবিধান, আর সংবিধানের অভিভাবক হচ্ছেন সুপ্রীম কোর্ট, সেই সুপ্রীম কোর্টের প্রতিনিধি হয়ে সাতক্ষীরায় এসেছি সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি বিভাগ পরিচালিত হচ্ছে, কিনা সেগুলো দেখার জন্য।
তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরার বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায় বিচার নিশ্চিতকল্পে ও সাধারণ জনগণের সেবা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিভাগের মধ্যে সমন্বয় থাকা অতীব জরুরী। সেজন্য সাতক্ষীরার বিচার বিভাগ, জেলা প্রসাশন ও পুলিশ বিভাগকে একে অপরের সহযোগী হয়ে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বিচারপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায় বিচার নিশ্চিতকল্পে ও সাধারণ জনগণের সেবা প্রদানের জন্য সাতক্ষীরার তিন বিভাগের প্রধান জেলা ও দায়রা জজ, জেলা প্রসাশক এবং পুলিশ সুপারকে তাঁদের নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করার জন্য আহ্বান জানান।
এ সময় জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আবদুল আলিম আল রাজী, জেলা প্রসাশক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান তাঁদের নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিচারপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সাতক্ষীরার বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শন করে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করায় তাঁকে সকলে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এম. জি. আযম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হুমায়ূন কবীরসহ বিচার বিভাগ সাতক্ষীরার সকল বিচারকবৃন্দ।
এর আগে বিচারপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন পৃথক পৃথক ভাবে সাতক্ষীরার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও জিপি এবং পিপিগনের সাথেও মতবিনিময় করেন। তিনি বিভিন্ন আদালত এবং আদালত সংশ্লিষ্ট দপ্তরও পরিদর্শন করেন।