দুই বছরের শিশু সন্তানের উপস্থিতিতে আদালতে ধর্ষণ মামলার আসামি তৌহিদুল ইসলামের সাথে ভুক্তভোগী তরুণীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ আদালতে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিবাহ হয়।
এর আগে আসামি পক্ষের আইনজীবী আসামি ও ভুক্তভোগীর বিয়ে আদালতে সম্পন্ন করার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ সাবেরা সুলতানা খানম তা মঞ্জুর করেন।
পরবর্তীতে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে কাজী বিয়ে পড়ান। আসামিকে তার পিতা জেবুল হক ও মামলার বাদীর জিম্মায় ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া বাদীকে তার পিতার জিম্মায় পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী তরুণী ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আসামি তৌহিদুল ইসলামের বাসায় গৃহ পরিচারিকার কাজ শুরু করেন। কাজ শুরুর কিছুদিন পর থেকে আসামি ভুক্তভোগী তরুণীকে খারাপ কাজের প্রস্তাব দেয়।
পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে তরুণী অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেক আপ করে জানতে পারে, সে দুই মাসের গর্ভবতী।
এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ভুক্তভোগী তরুণী ভিকটিম সেন্টারে ছেলে সন্তান জন্ম দেন। তার বয়স এখন দুই বছর।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহেদ মিয়া বলেন, আসামির সাথে বাদীর বিয়ের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর আদালতে তাদের বিয়ে হয়।
অ্যাডভোকেট জাহেদ মিয়া বলেন, এছাড়া আপোষের শর্তে জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পারিবারিকভাবে আপোষ মীমাংসা হয়েছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে তাদের বিয়ে হয়েছে।