আদালতের রায়ে ২০ বছর পর 'বাল্যবিয়ে' থেকে মুক্তি পেলেন তরুণী
বাল্যবিয়ে (প্রতীকী ছবি)

ম্যাজিস্ট্রেটের হস্তক্ষেপে ভণ্ডুল বাল্যবিয়ে, খাবার গেল এতিমখানায়

রাঙ্গুনিয়ায় দশম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি। বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় বর ও কনে পক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি সব খাবার পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় এতিমখানায়।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছাখালীর নূর জাহান কমিউনিটি সেন্টারে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বেলা আড়াইটার দিকে এ বিয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপজেলার সরফভাটা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে সেকান্দর হোসেন নামের ৩০ বছরের যুবকের বিয়ের অনুষ্ঠানের জমজমাট আয়োজন চলছিল।

এমন সময় বাল্যবিয়ে বন্ধে কমিউনিটি সেন্টারে হাজির ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জামশেদুল আলম। ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে কমিউনিটি সেন্টার থেকে পালিয়ে যায় বর ও কনে পক্ষ। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি সব খাবার পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় এতিমখানায়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদুল আলম বলেন, রাঙ্গুনিয়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। খবর পেয়ে বর ও কনে পক্ষ পালিয়ে যায়। পরে তাদের বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বর ও কনে পক্ষের কাউকে না পেয়ে তাদের হাজির হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে তারা আসলে বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় ছেলে পক্ষকে ৫০ হাজার ও বর পক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজনকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বোঝানো হয়। ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবে না মর্মে মেয়ের বাবা ১ লাখ টাকার বন্ডে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেছেন।