মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণার বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট

সমাবেশ বা মিছিল নিষিদ্ধ করা বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ এবং ডিএমপি কমিশনারের ক্ষমতা সংক্রান্ত বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে এই অধ্যাদেশের অধীন পুলিশের দায়মুক্তির বিধান এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ রুলস, ২০০৬ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো.ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল মোমেন চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

এর আগে গত ২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবির, চাঁদুপর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর ও রাজধানীর বাসিন্দা শাহ নুরুজ্জামান, মোহাম্মদ ইয়াসিন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।

রিটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অ্যর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ এর সেকশন ২৯ ও ১০৫ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (সভা, সমাবেশ, মিছিল এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ) রুলস, ২০০৬ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

রিটে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

পুলিশ অধ্যাদেশের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে, জনসাধারণের শান্তি বা নিরাপত্তা রক্ষার জন্য পুলিশ কমিশনার যখনই প্রয়োজন মনে করবেন এবং যতদিনের প্রয়োজন বিবেচনা করবেন লিখিত আদেশ দ্বারা কোনো জনসমাবেশ বা মিছিল নিষিদ্ধ করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো নিষেধাজ্ঞা সরকারের অনুমতি ব্যতীত ত্রিশ দিনের বেশি বলবৎ থাকবে না।

একই অধ্যাদেশের ১০৫ ধারায় বলা হয়েছে, এ অধ্যাদেশের কোনো বিধান অথবা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন বা তদুদ্দেশ্যে প্রণীত কোনো বিধি, প্রবিধান আদেশ বা নির্দেশের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোনো কাজ বা ক্ষতির জন্য কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো কারর্যধারা গ্রহণ করা যাবে না।

এদিকে সমাবেশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা নিষেধ-সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।