জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর

যেসব অপরাধে জরিমানার বিধান রয়েছে, সেগুলো দ্বিগুণ হচ্ছে সংশোধিত আইনে: মহাপরিচালক

ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এ যেসব অপরাধে জরিমানার বিধান রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশ দ্বিগুণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, নতুন আইনে শাস্তির আওতা বাড়ছে না। শাস্তি যথেষ্ট নয়, সেজন্য আরও অনেক আইন আছে। তবে জরিমানার পরিমাণগুলো দ্বিগুণ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অবহিতকরণ সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

মহাপরিচালক বলেন, অনেকেই চান ভোক্তা অধিদপ্তর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। কিন্তু আমরা এখনো সেভাবে প্রস্তুত না। প্রশাসনিক আইন জুডিশিয়াল আইন নয়। আইন কঠোর হওয়া প্রয়োজন এবং আমরা সেই চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের অফিসাররা মাজিস্ট্রেট নন, তাদের বিচারিক ক্ষমতা নেই। তারা শুধু এ আইনে জরিমানা করতে পারেন। মামলা করতে পারেন বাদী হয়ে। নিজে শাস্তি দিতে পারেন না।

সেমিনারে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমরা সবাই দিনশেষে ভোক্তা। বাজারে পণ্য কিনতে গেলে আমাদের নিজের অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে। আইনে কী আছে, সেটা জানতে হবে।

তিনি বলেন, ভোক্তা আইনটি এখন সংস্কার প্রয়োজন। আইনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তবে এ সংস্থা এখন ভালো কাজ করছে, প্রতিষ্ঠানটি কোনো দল দেখে না। প্রতিষ্ঠানের মালিক কে সে খোঁজ নেয় না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়। সাংবাদিকরাও একসঙ্গে একই কাজ করেন।