পদত্যাগ করলেন বিএনপির ৫ সংসদ সদস্য, আসন শূন্য ঘোষণা
বিএনপির সংসদ সদস্য

বিএনপির এমপিরা কী সুবিধা নিয়েছেন, জানতে ব্যারিস্টার সুমনের নোটিশ

জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করা বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি) রাষ্ট্র থেকে কী কী সুবিধা নিয়েছেন তা জানতে চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সংসদ সচিবালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আগামী সাত দিনের মধ্যে বিএনপির এমপিরা রাষ্ট্র থেকে যে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন তা জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, জনগণ তাদের পাঁচ বছরের জন্য ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। আর এই পাঁচ বছরে জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্যই তারা শপথ নিয়েছেন। অথচ পাঁচ বছর পূর্ণ না করে, জনগণকে সার্ভিস না দিয়ে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা বেআইনি।

গত ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনে গিয়ে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্য। এসময় অনুপস্থিত দুই জনের পক্ষেও পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়।

তারা হলেন— আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), হারুনর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)।

স্পিকার ড. স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তখন পাঁচ জনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন এবং ওই পাঁচটি আসন শূন্য হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান। বাকি দুজনের একজন আব্দুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় তার আবেদনের বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলে যাচাই করার পর গ্রহণ করা হবে বলে জানান স্পিকার। আর হারুন অর রশিদ বিদেশে থাকায় তার পদত্যাগপত্র আপাতত গ্রহণ করা হয়নি।

সন্ধ্যার মধ্যে আব্দুস সাত্তারের পদত্যাগের আবেদন যাচাই শেষে গ্রহণ করা হয়। এরপর রাতে সংসদ সচিবালয় থেকে ছয়টি আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে ভোটে অংশ নিয়েছিল। সেই নির্বাচনে বিএনপির ছয়জন বিজয়ী হন, পরে সংরক্ষিত নারী আসনের একটি পায় দলটি।